বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে ট্রেন থেকে নেমে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার সময় ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চন্দন চট্টগ্রাম বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির মেথরপট্টি এলাকার মৃত ধারীর ছেলে।ওসি মো. শাহিন মিয়া জানান, ‘চন্দন ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে গতকাল রাত সাড়ে ৭টায় ভৈরব রেলস্টেশনে নামেন। তার শ্বশুরবাড়ি ভৈরবের মেথরপট্টিতে। ট্রেন থেকে নেমে তিনি স্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল রাত গভীর হলে শ্বশুরের বাসায় আশ্রয় নেবেন। এরই মধ্য আমরা তাকে গ্রেফতার করি। বর্তমানে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
গ্রেফতারের বিষয়টি চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে আসলেই তাকে হস্তান্তর করা হবে।’তিনি আরো বলেন, ‘ওই হত্যার ঘটনায় মামলা হলে প্রধান আসামি চন্দনকে ধরতে চট্টগ্রাম ডিবি গত দুদিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। ডিবি জানতে পারে আসামি চন্দনের শ্বশুরবাড়ি ভৈরব এলাকায়। কিন্তু ডিবি তার খোঁজ পাচ্ছিল না। গতকাল তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে তিনি ভৈরবে অবস্থান করছেন। পরে এ খবর জানানো হলে আমরা সন্ধ্যার পর থেকে ভৈরব রেলস্টেশনে অবস্থান নিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের এসি দত্ত রোডের এক বিল্ডিংয়ের সামনে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার ১ নম্বর আসামি চন্দন। এ মামলায় পুলিশ আগেই ৯ জনকে গ্রেফতার করলেও প্রধান আসামি চন্দন ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন।