ঢাকা ০৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন নেতার নাম প্রকাশ করবে না হামাস

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাদের নতুন নেতার নাম গোপন রাখবে বলে জানিয়েছে। ভবিষ্যতে হামাস নেতাদের খুঁজে বের করা এবং তাকে হত্যা করা যাতে ইসরায়েলের পক্ষে সহজ না হয় সে চেষ্টাই নিয়েছে গোষ্ঠীটি।নাম গোপন থাকলে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি বিষয়ক আলোচনার ক্ষেত্রে কে সিদ্ধান্ত নেবে সেটি নিয়ে ইসরায়েল ধাঁধায় পড়বে।

ইসরায়েলের হামলায় হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থে নতুন নেতার নাম-পরিচয় জানানো হবে না বলে বিবিসিকে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।সৌদি আরবের মালিকানাধীন পত্রিকা আশারক আল-আসওয়াতও শনিবার এ খবর জানিয়েছে। পত্রিকাটিকে হামাসের কয়েকটি সূত্র জানান, এ বিষয়ে দলের ভেতরে আলোচনা হয়েছে। হামাস নেতৃবৃন্দ দলের নতুন রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধানের পরিচয় এবং নাম গোপন রাখা নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

হামাস নিরাপত্তায় যে চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে খুব সম্ভবত সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।হামাস সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, নতুন নেতার নাম গোপন রাখা নিয়ে গাজা এবং বিদেশের হামাস নেতাদের মধ্যে প্রায় মতৈক্য হয়েছে। সিনওয়ারের মৃত্যুতে এখন হামাসের নেতৃত্ব যারা দিতে পারেন সে তালিকায় আছেন-মোহম্মদ সিনওয়ার, খলিল আল-হায়া, খালেদ মেশাল, মাহমুদ আল-জহর, মোহাম্মদ শাবানা, মারওয়ান ঈসা ও রওহি মুশতাহা।

হামাসের রাজনৈতিক এবং সামরিক দুই শাখারই বহু শীর্ষ নেতাই সম্প্রতি কয়েক মাসে ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার, যাকে গতবছর ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলার ঘটনার হোতা বলে মনে করা হয়।এর আগে গত জুলাইয়ের শেষদিকে নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাইল হানিয়া। তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসরায়েলকেই দায়ী করা হয়। যদিও ইসরায়েল কখনওই হানিয়াকে হত্যার দায় স্বীকার করেনি।

ট্যাগস

নতুন নেতার নাম প্রকাশ করবে না হামাস

আপডেট সময় ০১:৩৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাদের নতুন নেতার নাম গোপন রাখবে বলে জানিয়েছে। ভবিষ্যতে হামাস নেতাদের খুঁজে বের করা এবং তাকে হত্যা করা যাতে ইসরায়েলের পক্ষে সহজ না হয় সে চেষ্টাই নিয়েছে গোষ্ঠীটি।নাম গোপন থাকলে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি বিষয়ক আলোচনার ক্ষেত্রে কে সিদ্ধান্ত নেবে সেটি নিয়ে ইসরায়েল ধাঁধায় পড়বে।

ইসরায়েলের হামলায় হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থে নতুন নেতার নাম-পরিচয় জানানো হবে না বলে বিবিসিকে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।সৌদি আরবের মালিকানাধীন পত্রিকা আশারক আল-আসওয়াতও শনিবার এ খবর জানিয়েছে। পত্রিকাটিকে হামাসের কয়েকটি সূত্র জানান, এ বিষয়ে দলের ভেতরে আলোচনা হয়েছে। হামাস নেতৃবৃন্দ দলের নতুন রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধানের পরিচয় এবং নাম গোপন রাখা নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

হামাস নিরাপত্তায় যে চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে খুব সম্ভবত সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।হামাস সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, নতুন নেতার নাম গোপন রাখা নিয়ে গাজা এবং বিদেশের হামাস নেতাদের মধ্যে প্রায় মতৈক্য হয়েছে। সিনওয়ারের মৃত্যুতে এখন হামাসের নেতৃত্ব যারা দিতে পারেন সে তালিকায় আছেন-মোহম্মদ সিনওয়ার, খলিল আল-হায়া, খালেদ মেশাল, মাহমুদ আল-জহর, মোহাম্মদ শাবানা, মারওয়ান ঈসা ও রওহি মুশতাহা।

হামাসের রাজনৈতিক এবং সামরিক দুই শাখারই বহু শীর্ষ নেতাই সম্প্রতি কয়েক মাসে ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার, যাকে গতবছর ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলার ঘটনার হোতা বলে মনে করা হয়।এর আগে গত জুলাইয়ের শেষদিকে নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাইল হানিয়া। তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসরায়েলকেই দায়ী করা হয়। যদিও ইসরায়েল কখনওই হানিয়াকে হত্যার দায় স্বীকার করেনি।