ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

আত্মগোপন থেকে ফিরেই বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের কর্মীকে পেটালেন ৩ যুবলীগকর্মী

বরিশালের মুলাদীতে আত্মগোপন থেকে ফিরেই বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছেন যুবলীগের কর্মীরা। উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের তিন যুবলীগ কর্মী ওই এলাকার দুজনকে পিটিয়ে আহত করেন। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ কাজিরচর রেইন্ট্রিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন- দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের ফয়জদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী কবির হোসেন হাওলাদার (৫৪) এবং কালু ব্যাপারীর ছেলে বিএনপি কর্মী ইউনুছ ব্যাপারী (৬৫)।  আহতরা অভিযোগ করেন, একই গ্রামের জব্বার ব্যাপারীর ছেলে সাইফুল ব্যাপারী (৩৫), মালেক ব্যাপারীর ছেলে ইউনুছ ব্যাপারী (৩০) এবং রহিম ব্যাপারীর ছেলে রফিক ব্যাপারী (৪০) অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদেরকে আহত করেন।  তারা সবাই কাজিরচর ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী এবং গত ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান আহত ইউনুছ ব্যাপারী।

গত ৪ আগস্ট চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার জেরধরে এ হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আহতরা। এ ঘটনায় রোববার বিকালে কবির হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় অভিযোগ করেছেন। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  কবির হোসেন হাওলাদার জানান, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় রেইন্ট্রতলা এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের গুলি করার বিষয়ে প্রতিবাদ করেন।

তখন যুবলীগ কর্মী সাইফুল, ইউনুছ ও রফিকের সঙ্গে কথার কাটাকাটি হয়। পরে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হলে ওই যুবলীগ কর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এক মাসের বেশি সময় আত্মগোপনে থাকার পরে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এলাকায় ফেরেন তারা। রোববার কাজে যাওয়ার সময় কবিরের পথরোধ করে মারধর শুরু করেন যুবলীগ কর্মীরা। ওই সময় ইউনুছ ব্যাপারী তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন তাদের উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এব্যাপারে জানতে চাইলে যুবলীগ কর্মী সাইফুল ব্যাপারী বলেন, প্রায় একমাস পর এলাকায় ফেরার পরে কবির হাওলাদার কটুক্তি করায় তার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। হামলা কিংবা তাকে আহত করা হয়নি।  মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

আত্মগোপন থেকে ফিরেই বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের কর্মীকে পেটালেন ৩ যুবলীগকর্মী

আপডেট সময় ১২:৩০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বরিশালের মুলাদীতে আত্মগোপন থেকে ফিরেই বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছেন যুবলীগের কর্মীরা। উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের তিন যুবলীগ কর্মী ওই এলাকার দুজনকে পিটিয়ে আহত করেন। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ কাজিরচর রেইন্ট্রিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন- দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের ফয়জদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী কবির হোসেন হাওলাদার (৫৪) এবং কালু ব্যাপারীর ছেলে বিএনপি কর্মী ইউনুছ ব্যাপারী (৬৫)।  আহতরা অভিযোগ করেন, একই গ্রামের জব্বার ব্যাপারীর ছেলে সাইফুল ব্যাপারী (৩৫), মালেক ব্যাপারীর ছেলে ইউনুছ ব্যাপারী (৩০) এবং রহিম ব্যাপারীর ছেলে রফিক ব্যাপারী (৪০) অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদেরকে আহত করেন।  তারা সবাই কাজিরচর ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী এবং গত ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান আহত ইউনুছ ব্যাপারী।

গত ৪ আগস্ট চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার জেরধরে এ হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আহতরা। এ ঘটনায় রোববার বিকালে কবির হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় অভিযোগ করেছেন। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  কবির হোসেন হাওলাদার জানান, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় রেইন্ট্রতলা এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের গুলি করার বিষয়ে প্রতিবাদ করেন।

তখন যুবলীগ কর্মী সাইফুল, ইউনুছ ও রফিকের সঙ্গে কথার কাটাকাটি হয়। পরে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হলে ওই যুবলীগ কর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এক মাসের বেশি সময় আত্মগোপনে থাকার পরে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এলাকায় ফেরেন তারা। রোববার কাজে যাওয়ার সময় কবিরের পথরোধ করে মারধর শুরু করেন যুবলীগ কর্মীরা। ওই সময় ইউনুছ ব্যাপারী তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন তাদের উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এব্যাপারে জানতে চাইলে যুবলীগ কর্মী সাইফুল ব্যাপারী বলেন, প্রায় একমাস পর এলাকায় ফেরার পরে কবির হাওলাদার কটুক্তি করায় তার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। হামলা কিংবা তাকে আহত করা হয়নি।  মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।