২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আজ চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। কদিন আগেই কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতার মধ্য দিয়ে জাতীয় দলকে বিদায় জানিয়েছেন আনহেল ডি মারিয়া, কলম্বিয়ার বিপক্ষে এই ফাইনালেও চোটে পড়েন লিওনেল মেসি যা থেকে এখনো সুস্থ হয়ে ওঠতে পারেননি তিনি। ফলে ১১ বছর পর এ দুই জনকে ছাড়া প্রথম মাঠে নামে আলবিসেলেস্তেরা।তবে মেসি-মারিয়া না থকলেও দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিতে বেগ পেতে হয়নি লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের। নতুন প্রজন্মের ফুটবলাররা নিজেদের দায়িত্বটা ঠিকঠাকভাবেই পালন করায় ৩-০ গোলের দুর্দান্ত কে জয় পেয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বিশেষ ম্যাচটিতে ৩-০ গোলের জয়টি এই কিংবদন্তিকে উৎস্বর্গ করেছেন আর্জেন্টাইনরা।আজ সকালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটিতে চিলিকে স্বাগত জানিয়েছে আর্জেন্টিনা। বুয়েন্স এয়ার্সে এই ম্যাচেই ডি মারিয়াকে বিদায়ী সম্মানা জানায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। স্বপরিবারে স্টেডিয়ামে হাজির হন ডি মারিয়া। এ সময় আবেগ ছুঁয়ে যায় তাকে। পরিবার, দর্শক কে কাঁদেননি ডি মারিয়ার বিদায়ী অনুষ্ঠানে! চোটের কারণে মাঠে থাকতে পারেননি মেসি। বন্ধুর বিদায়ে কেঁদেছেন তিনি নিজেও। পরে এক এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বন্ধুর উদ্দেশ্যে। মেসি বলেছেন, ‘আশা করছি এই সন্ধ্যাটা (স্থানীয় সময়) তুমি এবং তোমার পরিবার উপভোগ করেছো। যা বলার দরকার ছিল আমরা সবই বলেছি। আমরা একসঙ্গে অনেককিছু ভাগাভাগি করেছি।’
মেসি এখনও অবসর নেননি। ক্যারিয়ারের বাকি সময়টুকু বন্ধুকে মিস করবেন বলে জানান তিনি। মেসি বলেছেন, ‘কে ভেবেছে এভাবে শেষ হবে? আমরা তোমাকে ভালোবাসি। আমরা তোমাকে মিস করব। খুব শিগগিরই দেখা হবে ফিদেও (ডি মারিয়ার ছদ্ম নাম), আমরা তোমাকে অনেক মিস করব।’ কান্নায় ভেঙে পড়া ডি মারিয়া মাথা উঁচু করেই বিদায় নিচ্ছেন। বিদায়ী ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘আমি এখন শুধুই (আর্জেন্টিনার) একজন সমর্থক। প্রতিটি ম্যাচে সমর্থক হিসেবে দলকে উৎসাহ এবং সমর্থন দিয়ে যাব। বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা জয়ের গৌরব নিয়ে আমি যাচ্ছি। আমরা এভাবেই চলতে থাকব। আমাদের দলটার অনেক সাহস আছে। আমরা আবার ইতিহাস গড়ব। আবারও ধন্যবাদ!’
২০০৮ সালে আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক হয় ডি মারিয়ার। ১৬ বছরের এই দীর্ঘ যাত্রায় দেশের হয়ে ১৪৫ ম্যাচে ৩১টি গোল করেছেন তিনি। আলবিসেলেস্তেদের হয়ে একটি ফিফা বিশ্বকাপ, দুটি কোপা আমেরিকা ও একটি ফিনালিসিমার স্বাদ পেয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি।