সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘আলো আসবেই’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ছাত্র আন্দোলনকে দমানোর জন্য আওয়ামী সমর্থক শিল্পীদের নানান ধরনের কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন শোবিজের একাংশ। সেই গ্রুপের শিল্পীদের নিয়ে নেটিজেনরা করছেন কটাক্ষ। স্ক্রিনশটে দেখা যায়, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সাবেক সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌসের নেতৃত্বে চলে এই গ্রুপ।
সেই গ্রুপে শিল্পীরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন। এমনকি অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাসকে ছাত্রদের ওপর ‘গরম পানি’ ঢেলে দিতেও পরামর্শ দিতেও দেখা যায়। একই গ্রুপের অপর একটি স্ক্রিনশটে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়েও সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সহকর্মী ও ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটগুলো উল্লেখ করে যে, তারা অত্যাচারী শাসকের সহযোগী হিসেবে কাজ করছিল এবং আমাকে নিয়ে বিভিন্ন নোংরা শব্দ ব্যবহার করেছে, অত্যাচারী থাকলে তারা হয়তো আমার এবং তিশার কোনো না কোনো ক্ষতি করতো। আমার ব্যক্তিগত নিরাময়ের উপায় ভুলে যাচ্ছি! ভালো থাকতে দাও! আমীন।’
বিষয়টিকে তিনি মানবতা বিরোধী অপরাধকে উসকানি দেয়ার কথা উল্লেখ করে লিখেন, ‘তবে সরকারের উচিত আলোচনার পুরো সেটটি খতিয়ে দেখা। ১৪৬টি স্ক্রিনশট পাওয়া যায়। এই আন্দোলনের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে উসকানি দিয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই তদন্ত করে তাদের বিচার করা উচিত!’
‘আলো আসবেই’ গ্রুপে সদস্যদের তালিকায় আরও যারা ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।