২০২৪ সালে হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে তিন দফায় ৯১৩টি হজ এজেন্সিকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। সর্বশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর তৃতীয় পর্যায়ে অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এর আগে ১৩ নভেম্বর প্রথম দফায় ৭৮৬টি এবং ২৯ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ৮৩টি হজ এজেন্সিকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। এতে বলা হয়, প্রত্যেক হজযাত্রীর সঙ্গে হজ এজেন্সির লিখিত চুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক এজেন্সি সৌদি সরকার নির্ধারিত হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। প্রতিটি এজেন্সিকেই মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নেওয়া যাবে না। যদি কোনো এজেন্সি এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে কারণ দর্শানো ছাড়া লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তালিকা প্রকাশের পর কোনো এজেন্সি দণ্ডিত হলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কারণ দর্শানো ছাড়া সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সব এজেন্সিকে হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স এবং ট্রেড লাইসেন্স দাখিল করে পরিচালকের (হজ) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। সৌদি সরকারের নির্ধারিত সংখ্যক হজ এজেন্সি সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। যেসব এজেন্সির লাইসেন্স হালনাগাদ নেই, ঠিকানায় ভিন্নতা রয়েছে, দন্ডপ্রাপ্ত, সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত এবং অভিযোগ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াধীন, সেসব এজেন্সির নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটা এক লাখ ১৭ হাজার জন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর থেকে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। প্রথমে ১০ ডিসেম্বর নিবন্ধনের শেষ সময় নির্ধারণ করা হলেও সাড়া না মেলায় সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।