গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখামারা ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় জাহিদুল ইসলাম নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত জাহিদুল ইসলাম (৩৮) উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল ইসলাম ও তাঁর বন্ধু কবির মিয়া মোটরসাইকেলে করে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখামারা ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে সাত-আটজন দুর্বৃত্ত হঠাৎ রশির সাহায্যে মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করা হয়। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় সঙ্গী কবির মিয়াকে।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় জাহিদুল ও কবিরকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। অবস্থার অবনতি হলে জাহিদুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তির পর প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আমিরুজ্জামান বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির পরপরই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত জাহিদুলের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।