ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘর্ষে ‘যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে আছে’ বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর দুই দেশকেই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের হামলার নিন্দা করে বাইডেন বলেছেন, ‘কখনোই সন্ত্রাসী হামলার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
বাইডেন আরও বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করব যে তাদের (ইসরায়েল) নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা রয়েছে এবং তারা আত্মরক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে।’ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সন্ত্রাসবাদী হামলার মুখে ইসরায়েলের জনগণের পাশে আছে। ইসরায়েলের নিজেকে এবং তার জনগণকে রক্ষা করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে।’
এ দিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার সংঘাতে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া।দেশটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন, সহিংসতা পরিত্যাগ, প্রয়োজনীয় সংযম পালন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় একটি দীর্ঘস্থায়ী ও মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আলোচনা প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানাই।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, ‘ইসরায়েলে যে সন্ত্রাসী হামলা চলছে, আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবার ও তাদের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আমার পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি। ‘ইসরায়েলে ফরাসি দূতাবাস হামাসের এই হামলাকে ‘অগ্রহণযোগ্য সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। শনিবার ইসরায়েলে হামাসের হামলার সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্যও। দেশটির পররাষ্ট্রসচিব জেমস ক্লিভারলি বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্য দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামাসের ভয়াবহ হামলার নিন্দা জানায়।
যুক্তরাজ্য সর্বদা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করবে।’এ বিষয়ে জাতিসংঘের ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন আরেক দেশ চীনের কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের এই পাল্টাপাল্টি হামলার বিষয়ে জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য শান্তিদূত টর ওয়েনেসল্যান্ড বলেছেন, ‘এটি একটি বিপজ্জনক প্রবণতা। আমি সবাইকে এর থেকে সরে আসার জন্য অনুরোধ করছি।’ এ ঘটনায় আজ রোববার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘সেক্রেটারি-জেনারেল (আন্তোনিও গুতেরেস) বেসামরিক জনগণের জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী বেসামরিক নাগরিকদের সর্বদা সম্মান ও সুরক্ষা দিতে হবে।’ জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়ে ‘বৃহত্তর উত্তেজনা এড়াতে’ সব কূটনৈতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।