ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

সারা দেশে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু

সারা দেশে একযোগে সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে দিনব্যাপী চলবে এ কর্মসূচি।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রেখেছে। ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা (০.০৪%) প্রায় নাই বললেই চলে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী দেশের সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দেশের ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে জেলা, সিটি করপোরেশন ও মাঠপর্যায়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি টিভি ও রেডিও, জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব ইমামকে মসজিদে এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মাধ্যমে সব হিন্দু পুরোহিতকে মন্দিরে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য জানাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিটিআরসির সাহায্যে দেশব্যাপী সব মোবাইল অপারেটরের মধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্যসংবলিত খুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে। দেশের সব শিশু বিশেষজ্ঞকে (সরকারি ও বেসরকারি) তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এদিন ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এতে ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেবেন।

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা হয়, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়াও সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে ‘এ’ ক্যাপসুল। এছাড়াও হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করে।

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

সারা দেশে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু

আপডেট সময় ১১:০০:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সারা দেশে একযোগে সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে দিনব্যাপী চলবে এ কর্মসূচি।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রেখেছে। ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা (০.০৪%) প্রায় নাই বললেই চলে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী দেশের সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দেশের ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে জেলা, সিটি করপোরেশন ও মাঠপর্যায়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি টিভি ও রেডিও, জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব ইমামকে মসজিদে এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মাধ্যমে সব হিন্দু পুরোহিতকে মন্দিরে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য জানাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিটিআরসির সাহায্যে দেশব্যাপী সব মোবাইল অপারেটরের মধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্যসংবলিত খুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে। দেশের সব শিশু বিশেষজ্ঞকে (সরকারি ও বেসরকারি) তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এদিন ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এতে ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেবেন।

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা হয়, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়াও সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে ‘এ’ ক্যাপসুল। এছাড়াও হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করে।