ঢাকা ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে নিপাহ ভাইরাসে শিশুর মৃত্যু

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবার এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাধারণ ওয়ার্ড থেকে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হলো।

এর আগে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রামেক হাসাপাতালে এক নারীর মৃত্যু হয়েছিল।
সোমবার মারা যাওয়া ওই শিশুর নাম মো. সোয়াদ (৭)। সে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সানোয়ার হোসেনের ছেলে। এ নিয়ে বছরের শুরুতেই নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রামেক হাসাপাতালে দুইজনের মৃত্যু হলো।

দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের আইসিইউ ইউনিটের প্রধান ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে বাড়ির সবার সঙ্গে খেজুরের কাঁচা রস পান করে সোয়াদ। এরপর জ্বর, খিচুনি শুরু হয়। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে যায়। শুক্রবার বিকালেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার সকালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা নিপাহ ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রবিবার সন্ধ্যায় তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এতে শনাক্ত হয় যে, সে নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিত। আর এই সংক্রমণের কারণেই ওই শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল।

এরপর সোমবার সকালে সোয়াদ আইসিইউতে চিকিসাৎধীন আবস্থায় মারা যায়।

এর আগে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া নারী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের অধিবাসী ছিলেন।

ট্যাগস

রাজশাহীতে নিপাহ ভাইরাসে শিশুর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৭:৪৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবার এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাধারণ ওয়ার্ড থেকে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হলো।

এর আগে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রামেক হাসাপাতালে এক নারীর মৃত্যু হয়েছিল।
সোমবার মারা যাওয়া ওই শিশুর নাম মো. সোয়াদ (৭)। সে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সানোয়ার হোসেনের ছেলে। এ নিয়ে বছরের শুরুতেই নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রামেক হাসাপাতালে দুইজনের মৃত্যু হলো।

দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের আইসিইউ ইউনিটের প্রধান ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে বাড়ির সবার সঙ্গে খেজুরের কাঁচা রস পান করে সোয়াদ। এরপর জ্বর, খিচুনি শুরু হয়। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে যায়। শুক্রবার বিকালেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার সকালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা নিপাহ ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রবিবার সন্ধ্যায় তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এতে শনাক্ত হয় যে, সে নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিত। আর এই সংক্রমণের কারণেই ওই শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল।

এরপর সোমবার সকালে সোয়াদ আইসিইউতে চিকিসাৎধীন আবস্থায় মারা যায়।

এর আগে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া নারী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের অধিবাসী ছিলেন।