ঢাকা ১২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে জমি নিয়ে বিরোধে হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় দেন। এ সময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সেজনু মিয়া ও মিজানুর রহমান, একই গ্রামের ফয়জ উদ্দিনের ছেলে মুনসুর আলী ও গঙ্গাবর গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে জামাল ফকির।

টাঙ্গাইল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামে আসামিরা পার্শ্ববর্তী একটি জমিতে জোর করে দখলে নিয়ে চাষাবাদ করতে যান। জমির মালিক আব্দুর রহিম তাদের বাধা দিলে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে আহত অবস্থায় আব্দুর রহিমকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন আব্দুর রহিম মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে মো. সুলতান মিয়া বাদী হয়ে ২০০৫ সালের ৩ জানুয়ারি ধনবাড়ী থানায় ১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধনবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল আলম ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। সোমবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত মিজানুর রহমান, মুনসুর আলী ও জামাল ফকিরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। অপর দণ্ডিত সেজুন মিয়া পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।

এছাড়া ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর মামলার আসামি ময়েজ উদ্দিন মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

ট্যাগস

টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৪:২৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে জমি নিয়ে বিরোধে হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় দেন। এ সময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সেজনু মিয়া ও মিজানুর রহমান, একই গ্রামের ফয়জ উদ্দিনের ছেলে মুনসুর আলী ও গঙ্গাবর গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে জামাল ফকির।

টাঙ্গাইল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামে আসামিরা পার্শ্ববর্তী একটি জমিতে জোর করে দখলে নিয়ে চাষাবাদ করতে যান। জমির মালিক আব্দুর রহিম তাদের বাধা দিলে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে আহত অবস্থায় আব্দুর রহিমকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন আব্দুর রহিম মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে মো. সুলতান মিয়া বাদী হয়ে ২০০৫ সালের ৩ জানুয়ারি ধনবাড়ী থানায় ১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধনবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল আলম ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। সোমবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত মিজানুর রহমান, মুনসুর আলী ও জামাল ফকিরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। অপর দণ্ডিত সেজুন মিয়া পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।

এছাড়া ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর মামলার আসামি ময়েজ উদ্দিন মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।