ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ভিন্নভাবে পালন করেছে একটি সংগঠন। বৃহস্পতিবার বিজয়ের প্রথম প্রহরে সাত কিলোমিটার দৌড়ে সাত বীরশ্রেষ্ঠের প্রতি ব্যতিক্রমভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় উপজেলার দরুইন গ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধি নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখা নারীকে সম্মাননা জানানো হয়।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘আখাউড়া রানার্স’ নামে একটি সংগঠনের ৬৩ জন উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে দৌঁড় শুরু করেন। ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল।
উদ্বোধনের পর উপজেলা থেকে দৌড় শুরু হয়ে মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামালের সমাধিতে যান অংশগ্রহণকারীরা। বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধীতে পৌঁছে প্রথমে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। পরে সাত বীরশ্রেষ্ঠের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পাশাপাশি শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে জমসেদ শাহ্ ও মোস্তফা কামালের সমাধি স্বেচ্ছায় পরিচ্ছন্নতাকারী ফুলবানুকে সংগঠনের পক্ষে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
দৌঁড়ে অংশ নেওয়া সামিয়া আক্তার বলেন, আগে কখনো জাতির বীর সন্তানদের প্রতি এভাবে শ্রদ্ধা জানাতে আসিনি। বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
জাহিদ হাসান ফারদিন বলেন, আমি আবেগাপ্লুত। এমন ব্যতিক্রম আয়োজন সত্যিই আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার সবাই সুন্দরভাবে দৌঁড়ে আসতে পেরেছি।
উদ্যোক্তাদের অন্যতম মারিয়াম তাবাসসুম বলেন, তরুণ প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করতে আমাদের এ আয়োজন। ৫০ জনকে নিয়ে আমাদের এ আয়োজন করার কথা থাকলেও বেশ কয়েকজন তরুণিসহ এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩তে। সকলের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। ভবিষ্যতে আমরা আরো ব্যতিক্রম কিছু নিয়ে হাজির হবো।
এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার জসসেদ শাহ্, আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মানিক মিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন শফিক আলেয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বাহার মিয়া, সাংবাদিক জুটন বনিক, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, আশীষ সাহা প্রমুখ।