ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুভ জন্মদিন প্রধানমন্ত্রী “শেখ হাসিনা”

স্টাফ রিপোর্টারঃ  শেখ হাসিনা, জন্ম রাজনৈতিক পরিবারে বুঝতে শিখেই দেখেছেন মিছিল-মিটিং। মাঝে মাঝে জেলগেটেও দেখা করেছেন বাবার সঙ্গে। মায়ের ছায়াসঙ্গী হয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন খুব কাছে থেকে দেখেছেন তিনি। হ্যা, আজ ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন। চারবারের প্রধানমন্ত্রী, টানা ৪০ বছর ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের।

১৯৪৭ সালে আজকের তারিখে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা। তিনি পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বড়। আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকার সময় তিনি ১৯৬২ সালের হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলন করেছেন। তিনি শৈশব থেকেই ছিলেন স্পষ্টভাষী, স্কুলে তিনি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আয়োজনেও নেতৃত্ব দিতেন।

বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের (সাবেক ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজে) ছাত্রী থাকা অবস্থায় ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হন শেখ হাসিনা। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলনে অংশ নেন এবং কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন ১৯৬৭ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থাতেই তিনি পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন।

বঙ্গবন্ধু ষাটের দশকে প্রায়ই কারান্তরীণ থাকতেন। বড় মেয়ে শেখ হাসিনার বিয়ের সময়েও তিনি কারাগারে ছিলেন। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের তত্ত্বাবধানেই ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

পঁচাত্তুরের ১৫ই আগস্টে তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। তবে সেই শোক তাকে করেছে আরও শক্তিশালী। ১৯৮১ সালের কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হন, দেশে ফেরেন ১৭ মে। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দেন তিনি।

স্বজন হারানোর বেদনা নিয়েও হাল ধরেছেন বাংলাদেশের। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারের ধারবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, জাতির পিতার মতই দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।

একানব্বইয়ে হন বিরোধী দলীয় নেতা। ছিয়ানব্বইয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন উন্নয়নশীল দেশের কাছে। বিচার করেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যার, যুদ্ধাপরাধের, দমন করেছেন জঙ্গিবাদ।

সরকার ও দল সামলে আগলে রেখেছেন পরিবারকেও। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মায়ের সঙ্গী আর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ অটিজম সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখে নজর কেড়েছে বিশ্ববাসীর।

নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার পথরেখা তৈরির কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, “তিনি দেশি-বিদেশি অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এবং দেশের জন্য বয়ে এনেছেন বিরল সম্মান।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার অনুপস্থিতিতেই দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্‌যাপন করছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

ট্যাগস

শুভ জন্মদিন প্রধানমন্ত্রী “শেখ হাসিনা”

আপডেট সময় ১০:৩৯:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ  শেখ হাসিনা, জন্ম রাজনৈতিক পরিবারে বুঝতে শিখেই দেখেছেন মিছিল-মিটিং। মাঝে মাঝে জেলগেটেও দেখা করেছেন বাবার সঙ্গে। মায়ের ছায়াসঙ্গী হয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন খুব কাছে থেকে দেখেছেন তিনি। হ্যা, আজ ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন। চারবারের প্রধানমন্ত্রী, টানা ৪০ বছর ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের।

১৯৪৭ সালে আজকের তারিখে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা। তিনি পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বড়। আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকার সময় তিনি ১৯৬২ সালের হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলন করেছেন। তিনি শৈশব থেকেই ছিলেন স্পষ্টভাষী, স্কুলে তিনি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আয়োজনেও নেতৃত্ব দিতেন।

বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের (সাবেক ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজে) ছাত্রী থাকা অবস্থায় ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হন শেখ হাসিনা। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলনে অংশ নেন এবং কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন ১৯৬৭ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থাতেই তিনি পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন।

বঙ্গবন্ধু ষাটের দশকে প্রায়ই কারান্তরীণ থাকতেন। বড় মেয়ে শেখ হাসিনার বিয়ের সময়েও তিনি কারাগারে ছিলেন। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের তত্ত্বাবধানেই ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

পঁচাত্তুরের ১৫ই আগস্টে তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। তবে সেই শোক তাকে করেছে আরও শক্তিশালী। ১৯৮১ সালের কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হন, দেশে ফেরেন ১৭ মে। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দেন তিনি।

স্বজন হারানোর বেদনা নিয়েও হাল ধরেছেন বাংলাদেশের। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারের ধারবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, জাতির পিতার মতই দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।

একানব্বইয়ে হন বিরোধী দলীয় নেতা। ছিয়ানব্বইয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন উন্নয়নশীল দেশের কাছে। বিচার করেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যার, যুদ্ধাপরাধের, দমন করেছেন জঙ্গিবাদ।

সরকার ও দল সামলে আগলে রেখেছেন পরিবারকেও। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মায়ের সঙ্গী আর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ অটিজম সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখে নজর কেড়েছে বিশ্ববাসীর।

নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার পথরেখা তৈরির কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, “তিনি দেশি-বিদেশি অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এবং দেশের জন্য বয়ে এনেছেন বিরল সম্মান।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার অনুপস্থিতিতেই দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্‌যাপন করছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।