ঢাকা ০১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

কুড়িগ্রামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে শ্রামতি রিমা (১৮) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

রিমা কুড়িগ্রাম সদরের জিগামারীঘাট ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের মৃত রবি দাসের মেয়ে।পুলিশ জানায়, নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা গাছফাড়ী এলাকার সূর্যলালের ছেলে মহেশের সঙ্গে কুড়িগ্রামের জিগামারী ঘাট ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের রবি দাসের মেয়ে নিহত রিমার বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। শুক্রবার দুপুরে রিমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্বামীর বাড়ির নিজ শয়ন কক্ষে আত্মহত্যা করেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহত রিমার মা শ্রীমতি পারবতী জানান, তার মেয়ের সঙ্গে আট মাস আগে মহেশের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুক বাবদ ২০ হাজার টাকাও দেন।

পরবর্তীতে আরও ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় জামাই মহেশ ও তার পরিবারের লোকজন মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। তার দাবি, শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।

নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রিমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

ট্যাগস

দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা করেছে স্বামী

কুড়িগ্রামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৮:২১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে শ্রামতি রিমা (১৮) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

রিমা কুড়িগ্রাম সদরের জিগামারীঘাট ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের মৃত রবি দাসের মেয়ে।পুলিশ জানায়, নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা গাছফাড়ী এলাকার সূর্যলালের ছেলে মহেশের সঙ্গে কুড়িগ্রামের জিগামারী ঘাট ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের রবি দাসের মেয়ে নিহত রিমার বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। শুক্রবার দুপুরে রিমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্বামীর বাড়ির নিজ শয়ন কক্ষে আত্মহত্যা করেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহত রিমার মা শ্রীমতি পারবতী জানান, তার মেয়ের সঙ্গে আট মাস আগে মহেশের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুক বাবদ ২০ হাজার টাকাও দেন।

পরবর্তীতে আরও ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় জামাই মহেশ ও তার পরিবারের লোকজন মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। তার দাবি, শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।

নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রিমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।