রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা। তবে শীতে সবজির সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ১০-২০ টাকা।
রংপুর সিটি বাজারের খুচরা ও পাইকারিতে সবজির দাম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পাইকারির তুলনায় খুচরা বাজারে সবজি কেজিতে কমপক্ষে ১০ টাকা বেশি। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসন বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রংপুর সিটি বাজার, সাতমাথা বাজার, কামালকাছনা বাজার, মুলাটোল আমতলা বাজার ও টার্মিনাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে এক পাল্লা (৫ কেজি) ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।
অথচ খুচরা বাজারে সেই ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে। পাইকারি বাজারে এক পাল্লা (৫ কেজি) বেগুন ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে তা ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি বাজারে নতুন আলু এক পাল্লা (৫ কেজি) ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০-৪৫ টাকায়। পাইকারি বাজারে প্রতি পিস লাউ ২০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা পর্যায়ে হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়।
খুচরা ও পাইকারি বাজারের দামের বিস্তর ফারাকে বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর সিটি বাজারের সবজি আড়ৎদার লোকমান হোসেন বলেন, কৃষকের কাছ থেকে এক মণ ফুলকপি কিনেছি ২০০ টাকায়।
পরিবহন, খাজনা, লেবার ও মুনাফাসহ সেই ফুলকপি বিক্রি করছি প্রতি পাল্লা ৪০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি আট টাকায়। অথচ খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজিতে ১০-১৫ টাকা লাভ করছেন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। খুচরা ব্যবসায়ীদের কেজি পাঁচ টাকা লাভ ধরে সবজি বিক্রি করার আহ্বান জানান তিনি।
দামের বিস্তর ফারাকের বিষয়ে খুচরা সবজি বিক্রেতা হাসান আলীর বলেন, পাইকারি বাজার থেকে কোনো সবিজ ১০ কেজি কিনলে পাঁচ কেজি বিক্রি হলেও পাঁচ কেজি থেকে যায়, যা পরে নষ্ট হয়। এজন্য দ্বিগুণ মুনাফা ধরে সবজি বিক্রি করতে হয়।
সিটি বাজারে আসা গৃহবধূ মৌসুমী ইসলাম জানান, পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের বিস্তর তফাৎ ঠেকাতে বাজার মনিটরিং জোরদার দরকার।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট সাইজের (৩৫০ থেকে ৪০০ গ্রাম) ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়। ৫০০-৭০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।
এছাড়া এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়। রুই পাওয়া যাচ্ছে ১৬০-২৫০ টাকায়, সিলভারকার্প ১২০-১৪০ টাকায়, তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা, মৃগেল ১৪০-১৬০ টাকা, টাকি মাছ পাওয়া যাচ্ছে ২০০ টাকায়।
দেশি মুরগি ৪০০, ব্রয়লার ১২০ এবং কক মুরগি ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা দোকানে ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটার বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১০৭ থেকে ১০৮ টাকা।