ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার চাপে আছে পাকিস্তান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী "ইমরান খান"

ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একইসঙ্গে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, “ইসরায়েলের সঙ্গে ইসলামাবাদ কখনওই সম্পর্ক স্থাপন করবে না।”

পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য ফাঁস করেন। ইমরান খান বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ইসলামাবাদকেও একই কাজ করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তার সরকার এখন পর্যন্ত সে চাপ উপেক্ষা করে এসেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এমন একটি সমঝোতা যা ফিলিস্তিনিদের সন্তুষ্ট করবে তা অর্জিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি কোনও অবস্থাতেই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবতেও রাজি নই।”

 

কোন কোন দেশের পক্ষ থেকে এমন চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে সে সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান সুনির্দিষ্ট কোনও দেশের নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, “কিছু কথা আছে যা আমরা বলতে পারি না। তাদের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান।”

পাকিস্তানের জাতির পিতা কায়েদে আজম মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন- উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, “ফিলিস্তিনিদের স্বার্থে ইসলামাবাদ জিন্নাহর পদাঙ্ক অনুসরণ করে যাবে।”

তবে অন্য এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে চাপ সৃষ্টিকারী একটি দেশের নাম উল্লেখ করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, আমেরিকার ওপর ইসরায়েলের শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে এবং আমেরিকা হচ্ছে “আরেকটি দেশ যে কিনা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।”

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকার ওপর ইসরায়েলের গভীর প্রভাবের কারণেই এই চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ট্রাম্পের শাসনামলে ওয়াশিংটনের ওপর তেল আবিবের প্রভাব অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেছে।”

তবে নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিন ইস্যুতে কি নীতি গ্রহণ করেন পাকিস্তান তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বলে ইমরান খান উল্লেখ করেন।

ট্যাগস

ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার চাপে আছে পাকিস্তান

আপডেট সময় ১০:৪৯:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০

ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একইসঙ্গে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, “ইসরায়েলের সঙ্গে ইসলামাবাদ কখনওই সম্পর্ক স্থাপন করবে না।”

পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য ফাঁস করেন। ইমরান খান বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ইসলামাবাদকেও একই কাজ করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তার সরকার এখন পর্যন্ত সে চাপ উপেক্ষা করে এসেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এমন একটি সমঝোতা যা ফিলিস্তিনিদের সন্তুষ্ট করবে তা অর্জিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি কোনও অবস্থাতেই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবতেও রাজি নই।”

 

কোন কোন দেশের পক্ষ থেকে এমন চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে সে সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান সুনির্দিষ্ট কোনও দেশের নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, “কিছু কথা আছে যা আমরা বলতে পারি না। তাদের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান।”

পাকিস্তানের জাতির পিতা কায়েদে আজম মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন- উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, “ফিলিস্তিনিদের স্বার্থে ইসলামাবাদ জিন্নাহর পদাঙ্ক অনুসরণ করে যাবে।”

তবে অন্য এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে চাপ সৃষ্টিকারী একটি দেশের নাম উল্লেখ করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, আমেরিকার ওপর ইসরায়েলের শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে এবং আমেরিকা হচ্ছে “আরেকটি দেশ যে কিনা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।”

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকার ওপর ইসরায়েলের গভীর প্রভাবের কারণেই এই চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ট্রাম্পের শাসনামলে ওয়াশিংটনের ওপর তেল আবিবের প্রভাব অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেছে।”

তবে নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিন ইস্যুতে কি নীতি গ্রহণ করেন পাকিস্তান তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বলে ইমরান খান উল্লেখ করেন।