ঢাকা ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সমর্থকেরা বিক্ষোভকারীদের ওপর সমন্বিত হামলা চালায় Logo প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেন Logo গুলি ও ভারতীয় শাড়িসহ ডিবি পুলিশের ২ কনস্টেবল গ্রেফতার Logo আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কর্মসূচি ঘোষণা Logo আয়নাঘরেই আটকে রাখা হয়েছিল, চিনতে পারলেন নাহিদ ও আসিফ Logo চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে টাইগারদের অফিসিয়াল ফটোসেশন Logo দেশ ক্ষমতা ধরে রাখতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: জাতিসংঘ Logo গণমাধ্যম ও ভুক্তভোগী দের সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা Logo হত্যা মামলায় নওগাঁর ৫ চেয়ারম্যান সহ ৯ আওয়ামীলীগ নেতা কারাগারে Logo নওগাঁর পত্নীতলায় শেষ সময়ে বোরো চাষে ব্যস্ত চাষিরা

ইউএনও ওয়াহিদার কথা বলতে পারছেন , ইনফেকশনের ভয়

ইউএনও ওয়াহিদা

স্টাফ রিপোর্টারঃ দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অনুভূতি আছে, কথাও বলছেন।

তবে তার মাথার কাটা অংশে ইনফেকশনের ভয় রয়েছে, ইনফেকশন না হলে উনার শারীরিক অবস্থার উন্নতিটা স্বাভাবিক হবে।

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

তিনি বলেন, অপারেশনের পরে ইউএনও ওয়াহিদা কথা বলতে পারছেন। বর্তমানে তার অনুভূতি আছে, তবে শক্তি নেই। তার ডান হাত, ডান পা উঠানো যাচ্ছে না।

যেহেতু তার মাথার অংশটা কাটা ছিল ও অনেক ময়লা ছিল। এর ফলে ওই জায়গাটাতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটাই এখন আমাদের ভয়। যদি ইনফেকশন না হয়, তবে তার উন্নতিটা স্মুথ হবে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের যুগ্ম-পরিচালক ডা. বদরুল আলম বলেন, ওয়াহিদা খানমের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা স্থিতিশীল ও উন্নতির দিকে। অপারেশনটা আমরা সাকসেসফুলি করতে পেরেছি। এখন তিনি কথা বলতে পারেন এবং চিনতেও পারেন।

বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ছয় সদস্যের চিকিৎসক দল প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে।

অস্ত্রোপচার শেষেই তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। তাৎক্ষণিকভাবে তার সেরে উঠার বিষয়ে আশাবাদী হলেও তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানানো হয়।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত ও তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।

পরে ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ট্যাগস

পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সমর্থকেরা বিক্ষোভকারীদের ওপর সমন্বিত হামলা চালায়

ইউএনও ওয়াহিদার কথা বলতে পারছেন , ইনফেকশনের ভয়

আপডেট সময় ০৭:১০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অনুভূতি আছে, কথাও বলছেন।

তবে তার মাথার কাটা অংশে ইনফেকশনের ভয় রয়েছে, ইনফেকশন না হলে উনার শারীরিক অবস্থার উন্নতিটা স্বাভাবিক হবে।

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

তিনি বলেন, অপারেশনের পরে ইউএনও ওয়াহিদা কথা বলতে পারছেন। বর্তমানে তার অনুভূতি আছে, তবে শক্তি নেই। তার ডান হাত, ডান পা উঠানো যাচ্ছে না।

যেহেতু তার মাথার অংশটা কাটা ছিল ও অনেক ময়লা ছিল। এর ফলে ওই জায়গাটাতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটাই এখন আমাদের ভয়। যদি ইনফেকশন না হয়, তবে তার উন্নতিটা স্মুথ হবে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের যুগ্ম-পরিচালক ডা. বদরুল আলম বলেন, ওয়াহিদা খানমের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা স্থিতিশীল ও উন্নতির দিকে। অপারেশনটা আমরা সাকসেসফুলি করতে পেরেছি। এখন তিনি কথা বলতে পারেন এবং চিনতেও পারেন।

বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ছয় সদস্যের চিকিৎসক দল প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে।

অস্ত্রোপচার শেষেই তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। তাৎক্ষণিকভাবে তার সেরে উঠার বিষয়ে আশাবাদী হলেও তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানানো হয়।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত ও তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।

পরে ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।