ঢাকা ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৩ জনের মৃত্যু

ভূমিধসে ১৩ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ভারী বৃষ্টির প্রভাবে দেশটিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, এখন পর্যন্ত আরও ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।এদিকে, মঙ্গলবার দেশটির কেন্দ্রীয় বিপর্যয় ও সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের-

সদর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, দুর্যোগের কারণে রাজধানী শহর সিউল এবং এর আশেপাশের এক হাজারের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

সামনের দিনগুলোতে আবহাওয়া আরও খারাপ হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। দুর্যোগের কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিধসের ঘটনায়।

ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, জিওংগি প্রদেশে একটি পাহাড়ের কাছে অস্থায়ী ঘর বানিয়ে বাস করছিল অনেকেই। সেখানে ভূমিধসের আঘাতে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে।

এদিকে, বন্যায় নিখোঁজ হওয়াদের মধ্যে ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধও আছেন। তার সঙ্গে থাকা ট্রাকটি পানিতে ভেসে যাওয়ার পর থেকেই ওই বৃদ্ধের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

বৃষ্টি-বন্যায় ৫ হাজার ৭৫১ একরের বেশি ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, দুর্যোগের কারণে ক্ষয়-ক্ষতি ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন স্থানে ২৫ হাজারের বেশি পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।

মঙ্গলবার আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে যে, ৫০ থেকে ১শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে।

দুর্যোগের কারণে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রেসিডেন্ট মুন জ্যা ইন। এদিকে প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়াতেও বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ট্যাগস

শাওনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৩ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৮:০৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ভারী বৃষ্টির প্রভাবে দেশটিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, এখন পর্যন্ত আরও ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।এদিকে, মঙ্গলবার দেশটির কেন্দ্রীয় বিপর্যয় ও সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের-

সদর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, দুর্যোগের কারণে রাজধানী শহর সিউল এবং এর আশেপাশের এক হাজারের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

সামনের দিনগুলোতে আবহাওয়া আরও খারাপ হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। দুর্যোগের কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিধসের ঘটনায়।

ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, জিওংগি প্রদেশে একটি পাহাড়ের কাছে অস্থায়ী ঘর বানিয়ে বাস করছিল অনেকেই। সেখানে ভূমিধসের আঘাতে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে।

এদিকে, বন্যায় নিখোঁজ হওয়াদের মধ্যে ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধও আছেন। তার সঙ্গে থাকা ট্রাকটি পানিতে ভেসে যাওয়ার পর থেকেই ওই বৃদ্ধের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

বৃষ্টি-বন্যায় ৫ হাজার ৭৫১ একরের বেশি ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, দুর্যোগের কারণে ক্ষয়-ক্ষতি ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন স্থানে ২৫ হাজারের বেশি পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।

মঙ্গলবার আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে যে, ৫০ থেকে ১শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে।

দুর্যোগের কারণে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রেসিডেন্ট মুন জ্যা ইন। এদিকে প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়াতেও বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।