ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

লাদাখ ছাড়ছে না চীন, উত্তেজনা বাড়িয়ে সীমান্তে ট্যাংক পাঠাল ভারত

লাদাখ সীমান্তে ভারতের বিধ্বংসী ট্যাংক

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা বৈঠকের পর ভারত ও চীনা প্রতিনিধিরা মৌখিক মীমাংসায় পৌঁছলেও এখনো লাদাখের ফিঙ্গার ফোর ছাড়তে নারাজ চীন।

যদিও পিছু হটছে না ভারতও। তাই কড়া সতর্কতা জারির মাধ্যমে লাদাখে ভয়ঙ্কর ট্যাংকের সংখ্যা বাড়াল নয়াদিল্লি।এসবের ফলে সীমান্তে ক্রমশ উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কেননা পাংগং ঘিরে ফের জটিলতা তৈরি করেছে চীন। ফিঙ্গারস ফোর থেকে কোনো মতেই সরতে চাইছে না বেইজিং। তাই পূর্ব লাদাখে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তৈরি ভারতীয় সেনা বাহিনী।

এমন পরিস্থিতিতে ১৭ ও ১৮ জুলাই লাদাখ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখবেন তিনি।

সূত্রের খবর, ইতোমধ্যে মোদী সরকারের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকের জন্য নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন চিফ অব নর্দান কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াই কে যোশী।

খুব তাড়াতাড়ি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা রয়েছে তার। সে ক্ষেত্রে সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিও ব্যাখ্যা করতে পারেন যোশী।

এ দিকে পূর্ব লাদাখে এরই মধ্যে অতিরিক্ত ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। এমনকি মোতায়েন করা হয়েছে ভীষ্ম ট্যাংক, অ্যাপাচে অ্যাটাক-

হেলিকপ্টার, সুখোই ফাইটার জেট, চিনুক ও রুদ্র হেলিকপ্টারের মতো বিধ্বংসী সব সমরাস্ত্র। তাছাড়া চীন সীমান্তে চলছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর কড়া নজরদারি।

অপর দিকে দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টার বৈঠকের ফলাফল খতিয়ে দেখেছেন চায়না স্টাডি গ্রুপ বা সিএসজির প্রধান ও দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

বৃহস্পতিবারই (১৬ জুলাই) পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন তিনি। সিএসজিতে রয়েছেন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিদেশ সচিব ও প্রতিরক্ষা সচিবরা।

এমনকি রয়েছেন ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রতিনিধিরাও। সূত্রের খবর, এখনই প্যাংগংয়ের ফিঙ্গারস থেকে সরতে ইচ্ছুক নয় চীনের সেনা সদস্যরা। জানা গেছে, বেইজিং গলওয়ান ভ্যালি, হট স্প্রিং ও গোগরা-

পোস্ট থেকে সেনা সরাতে রাজি হলেও ফিঙ্গারস এলাকা থেকে এখনই নিজেদের দখল সরাতে চাইছে না। তাই বলা চলে সীমান্তের ফিঙ্গারস ৮ এলাকা এখনো সম্পূর্ণভাবে চীনের দখলে।

সূত্র : কলকাতা/২৪

 

ট্যাগস

শাওনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

লাদাখ ছাড়ছে না চীন, উত্তেজনা বাড়িয়ে সীমান্তে ট্যাংক পাঠাল ভারত

আপডেট সময় ১২:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা বৈঠকের পর ভারত ও চীনা প্রতিনিধিরা মৌখিক মীমাংসায় পৌঁছলেও এখনো লাদাখের ফিঙ্গার ফোর ছাড়তে নারাজ চীন।

যদিও পিছু হটছে না ভারতও। তাই কড়া সতর্কতা জারির মাধ্যমে লাদাখে ভয়ঙ্কর ট্যাংকের সংখ্যা বাড়াল নয়াদিল্লি।এসবের ফলে সীমান্তে ক্রমশ উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কেননা পাংগং ঘিরে ফের জটিলতা তৈরি করেছে চীন। ফিঙ্গারস ফোর থেকে কোনো মতেই সরতে চাইছে না বেইজিং। তাই পূর্ব লাদাখে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তৈরি ভারতীয় সেনা বাহিনী।

এমন পরিস্থিতিতে ১৭ ও ১৮ জুলাই লাদাখ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখবেন তিনি।

সূত্রের খবর, ইতোমধ্যে মোদী সরকারের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকের জন্য নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন চিফ অব নর্দান কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াই কে যোশী।

খুব তাড়াতাড়ি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা রয়েছে তার। সে ক্ষেত্রে সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিও ব্যাখ্যা করতে পারেন যোশী।

এ দিকে পূর্ব লাদাখে এরই মধ্যে অতিরিক্ত ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। এমনকি মোতায়েন করা হয়েছে ভীষ্ম ট্যাংক, অ্যাপাচে অ্যাটাক-

হেলিকপ্টার, সুখোই ফাইটার জেট, চিনুক ও রুদ্র হেলিকপ্টারের মতো বিধ্বংসী সব সমরাস্ত্র। তাছাড়া চীন সীমান্তে চলছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর কড়া নজরদারি।

অপর দিকে দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টার বৈঠকের ফলাফল খতিয়ে দেখেছেন চায়না স্টাডি গ্রুপ বা সিএসজির প্রধান ও দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

বৃহস্পতিবারই (১৬ জুলাই) পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন তিনি। সিএসজিতে রয়েছেন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিদেশ সচিব ও প্রতিরক্ষা সচিবরা।

এমনকি রয়েছেন ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রতিনিধিরাও। সূত্রের খবর, এখনই প্যাংগংয়ের ফিঙ্গারস থেকে সরতে ইচ্ছুক নয় চীনের সেনা সদস্যরা। জানা গেছে, বেইজিং গলওয়ান ভ্যালি, হট স্প্রিং ও গোগরা-

পোস্ট থেকে সেনা সরাতে রাজি হলেও ফিঙ্গারস এলাকা থেকে এখনই নিজেদের দখল সরাতে চাইছে না। তাই বলা চলে সীমান্তের ফিঙ্গারস ৮ এলাকা এখনো সম্পূর্ণভাবে চীনের দখলে।

সূত্র : কলকাতা/২৪