ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

৭০০ বছরের পুরনো মসজিদকে নাইট ক্লাব বানাল ইসরায়েল

নাইট ক্লাবের পরিণত হওয়া প্রাচীন মসজিদ

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদকে নাইট ক্লাবে রূপান্তর করেছে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক ‘আল আহমার’ নামের মসজিদে এখন পার্টি হয়, চলে মদ্যপান। এছাড়া কমিউনিটি সেন্টার হিসেবেও ব্যবহার করা হয় সেটিকে।

উত্তর ফিলিস্তিনে অবস্থিত ত্রয়োদশ শতাব্দীর আল-আহমার মসজিদটিকে বার ও কমিউনিটি সেন্টারে পরিণত করেছে ইসরায়েলের সাফাদ নগর কর্তৃপক্ষ।

লন্ডন থেকে প্রকাশিত আরবভিত্তিক দৈনিক আল কুদুস আল আরাবির বরাতে গত বছরের এপ্রিলে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে মিডলইস্ট মনিটর।

খাইর তাবারি নামে ফিলিস্তিনি ইসলামিক বৃত্তি প্রদানকারী সংস্থার এক কর্মী বিষয়টি সম্পর্কে প্রথমে অবহিত করেন। খাইর তাবারি নামের ওই কর্মী বলেছিলেন,-

আমি যখন ব্যাপারটি প্রথমবার দেখতে পাই তখন তো বেশ মর্মাহত হয়ে পড়ি। মসজিদটির ভেতরে এমন কার্যক্রম লক্ষ্য করার পর আমি অন্তর্ঘাতে ভুগতে থাকি।

বেশ কয়েকবার হামালার শিকার হয় মসজিদটি। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলিরা ওই এলাকার দখল নিলে মসজিদটিও হাতছাড়া হয়। তারপর থেকে নানাভাবে ব্যবহার হতে থাকে সেটি। সেখানে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করে তারা।

প্রথমে এটিকে ইহুদি যাজকদের একটি প্রশিক্ষণ কলেজ হিসেবে রূপান্তর করা হয়। তারপর ২০০৬ সালে ইসরায়েলের কাদিমা পার্টির নির্বাচনি কার্যালয় বানানো হয় মসজিদটিকে।

মুস্তাফা আব্বাস নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আল আহমার মসজিদের লাল পাথররে লেখা মসজিদের নামটিও মুছে গেছে।

আজকাল এখানে সবই হয় শুধু মুসলিমদের নামাজ আদায় করা বাদে। মুসলিমরা মসজিদটিতে গেলে ইহুদিদের আক্রমণের শিকার হন। মুস্তাফা আব্বাস আরও বলেন, মসজিদটির দুর্লভ ঐতিহাসিক ও স্থাপত্য মূল্য রয়েছে।

এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মামলুক সাম্রাজ্যের সুলতান আল দাহের বাইবারসের শাসনামলে। মসজিদটির সামনে থাকা নাম ফলক বলছে এটি ১২৭৬ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত।

তবে এটাই নতুন নয়, ১৯৪৮ সালের পর ইসরায়েল বহু মসজিদ, কবরস্থান ও ধর্মীয় উপস্থাপনা ধংস করেছে। জাফা, লড, আল-রামলা, আশকেলন ও অন্যান্য শহরে এর কোনটি রূপান্তর করা হয়েছে বার কিংবা নাইট ক্লাবে।

 

ট্যাগস

শাওনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

৭০০ বছরের পুরনো মসজিদকে নাইট ক্লাব বানাল ইসরায়েল

আপডেট সময় ১২:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদকে নাইট ক্লাবে রূপান্তর করেছে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক ‘আল আহমার’ নামের মসজিদে এখন পার্টি হয়, চলে মদ্যপান। এছাড়া কমিউনিটি সেন্টার হিসেবেও ব্যবহার করা হয় সেটিকে।

উত্তর ফিলিস্তিনে অবস্থিত ত্রয়োদশ শতাব্দীর আল-আহমার মসজিদটিকে বার ও কমিউনিটি সেন্টারে পরিণত করেছে ইসরায়েলের সাফাদ নগর কর্তৃপক্ষ।

লন্ডন থেকে প্রকাশিত আরবভিত্তিক দৈনিক আল কুদুস আল আরাবির বরাতে গত বছরের এপ্রিলে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে মিডলইস্ট মনিটর।

খাইর তাবারি নামে ফিলিস্তিনি ইসলামিক বৃত্তি প্রদানকারী সংস্থার এক কর্মী বিষয়টি সম্পর্কে প্রথমে অবহিত করেন। খাইর তাবারি নামের ওই কর্মী বলেছিলেন,-

আমি যখন ব্যাপারটি প্রথমবার দেখতে পাই তখন তো বেশ মর্মাহত হয়ে পড়ি। মসজিদটির ভেতরে এমন কার্যক্রম লক্ষ্য করার পর আমি অন্তর্ঘাতে ভুগতে থাকি।

বেশ কয়েকবার হামালার শিকার হয় মসজিদটি। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলিরা ওই এলাকার দখল নিলে মসজিদটিও হাতছাড়া হয়। তারপর থেকে নানাভাবে ব্যবহার হতে থাকে সেটি। সেখানে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করে তারা।

প্রথমে এটিকে ইহুদি যাজকদের একটি প্রশিক্ষণ কলেজ হিসেবে রূপান্তর করা হয়। তারপর ২০০৬ সালে ইসরায়েলের কাদিমা পার্টির নির্বাচনি কার্যালয় বানানো হয় মসজিদটিকে।

মুস্তাফা আব্বাস নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আল আহমার মসজিদের লাল পাথররে লেখা মসজিদের নামটিও মুছে গেছে।

আজকাল এখানে সবই হয় শুধু মুসলিমদের নামাজ আদায় করা বাদে। মুসলিমরা মসজিদটিতে গেলে ইহুদিদের আক্রমণের শিকার হন। মুস্তাফা আব্বাস আরও বলেন, মসজিদটির দুর্লভ ঐতিহাসিক ও স্থাপত্য মূল্য রয়েছে।

এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মামলুক সাম্রাজ্যের সুলতান আল দাহের বাইবারসের শাসনামলে। মসজিদটির সামনে থাকা নাম ফলক বলছে এটি ১২৭৬ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত।

তবে এটাই নতুন নয়, ১৯৪৮ সালের পর ইসরায়েল বহু মসজিদ, কবরস্থান ও ধর্মীয় উপস্থাপনা ধংস করেছে। জাফা, লড, আল-রামলা, আশকেলন ও অন্যান্য শহরে এর কোনটি রূপান্তর করা হয়েছে বার কিংবা নাইট ক্লাবে।