স্টাফ রিপোর্টার ,নওগাঁঃ কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ছোট যমুনা ও আত্রাই নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলগুলো।
আত্রাই নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়াই আত্রাইয়ের কাসিয়াবাড়ী ব্রিজ দিয়ে পানি প্রবেশ করে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউপির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও পুকুর ডুবে যাওয়ায় ভেসে গেছে মাছ।
এছাড়াও ওই এলাকার আমন চাষি কৃষকদের বীজতলা ডুবে গেছে। এতে করে জনমনে চরম আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় উপজেলার নিচু ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আত্রাইয়ের কাশিয়াবাড়ী স্লুইস গেট দিয়ে পানি প্রবেশ করে আত্রাইয়ের বাঁকা,-
জামগ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে আসা খাল দিয়ে রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউপির শলিয়া মাঠে পানি প্রবেশ করায় প্রায় ১০টি পুকুর ডুবে গেছে। এতে করে পুকুরে মাছ চাষিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
অপরদিকে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার সীমান্তবর্তী বেরীবাঁধ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ছোট যমুনার পানি বাড়তি হলেই রাণীনগর উপজেলার প্রায় ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার শলিয়া গ্রামের পুকুর চাষি জনাব আলি মণ্ডল, নুরুজ্জামান জানান, হঠাৎ করে পানি প্রবেশ করায় আমার পুকুরের সব দেশীয় প্রজাতির মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে আমার প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম জানান, প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে আমন ও আউশ ধান রোপণ।
এছাড়াও আত্রাইয়ের কাশিয়াবাড়ি এবং নান্দাইবাড়ি বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ফসল ও পুকুরের ক্ষতি হয়েছে।
তবে নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। এতে করে কৃষকদের তেমন একটা ক্ষতি হবে না বলে আমি আশা করছি। তবুও ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শিল্পী রায় জানান,-
বন্যার পানি প্রবেশ করে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের যে পুকুরগুলো ডুবে মাছ ভেসে গেছে তাদের তালিকা করে তৈরি অব্যাহত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য মৎস্য চাষিদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে।