ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় কোভিডে ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারীর মৃত্যু

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ভূমি কার্যালয়ের এক অফিস সহকারী মারা গেছেন।

গোলাম রাব্বানী (৫২) নামের ওই কর্মচারী গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বালিজুরি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম।

গোলাম রব্বানীর গ্রামের বাড়ি জেলার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর গ্রামে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরবাড়ি কেন্দুয়ার বালিজুরি গ্রামে বসবাস করছেন।

তিনি মদন উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে কর্মরত।

মদন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতিকুল ইসলাম আজ শুক্রবার সকালে জানান, গত ২২ জুন গোলাম রব্বানীর নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ ল্যাবে পাঠানো হয়। ২৭ জুন তাঁর করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে। এরপর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।

জেলা সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম জানান, জেলায় এ পর্যন্ত চারজন কোভিডে মারা যান। তাঁদের বয়স ৫২ থেকে ৭৫–এর মধ্যে। তবে এই প্রথম চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভূমি অফিস সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর শনাক্ত হয়। তিনি আরও জানান, নেত্রকোনায় গত ২ এপ্রিল থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পরীক্ষাগারে প্রেরিত নমুনার সংখ্যা ৬ হাজার ৯৭৯। এর মধ্যে ৬ হাজার ৮৯৩টির ফলাফল পাওয়া গেছে। তাতে ৫৩৮ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৬৩ জন।

ট্যাগস

নেত্রকোনায় কোভিডে ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারীর মৃত্যু

আপডেট সময় ১১:৩৬:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ভূমি কার্যালয়ের এক অফিস সহকারী মারা গেছেন।

গোলাম রাব্বানী (৫২) নামের ওই কর্মচারী গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বালিজুরি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম।

গোলাম রব্বানীর গ্রামের বাড়ি জেলার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর গ্রামে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরবাড়ি কেন্দুয়ার বালিজুরি গ্রামে বসবাস করছেন।

তিনি মদন উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে কর্মরত।

মদন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতিকুল ইসলাম আজ শুক্রবার সকালে জানান, গত ২২ জুন গোলাম রব্বানীর নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ ল্যাবে পাঠানো হয়। ২৭ জুন তাঁর করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে। এরপর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।

জেলা সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম জানান, জেলায় এ পর্যন্ত চারজন কোভিডে মারা যান। তাঁদের বয়স ৫২ থেকে ৭৫–এর মধ্যে। তবে এই প্রথম চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভূমি অফিস সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর শনাক্ত হয়। তিনি আরও জানান, নেত্রকোনায় গত ২ এপ্রিল থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পরীক্ষাগারে প্রেরিত নমুনার সংখ্যা ৬ হাজার ৯৭৯। এর মধ্যে ৬ হাজার ৮৯৩টির ফলাফল পাওয়া গেছে। তাতে ৫৩৮ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৬৩ জন।