নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় অভিনব কায়দায় প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে প্রতারণা করতে গিয়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছেন স্থানীয়রা।
গণধোলায়ের পর ওই মাদ্রাসা শিক্ষক এবং তার ব্যবহৃত মটর সাইকেলটি আটক করেন তারা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গণেশপুর ইউপির শ্রীরামপুর গ্রামের সরদারপাড়ায়।
পরে ওই দিন সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তার মটরসাইকেলটি গণেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হানিফ উদ্দিন মন্ডলের হেফাজতে রাখা হয়।
ঘটনার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও মটরসাইকেলটি না নিয়ে ওই প্রতারক শিক্ষক বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছেন।
গণধোলাই খাওয়া প্রতারক মাসুদ রানা উপজেলার প্রসাদপুরের আস্তলের ছেলে এবং রেবা আখতার আলিম মাদ্রাসার কম্পিউটার বিষয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষক বলে জানা গেছে।
তিনি তার স্ত্রীর দায়ের করা মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় বহিস্কার হন। যে দিন ঘটনা ঘটে, ওইদিন তিনি কৌশলে তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বাড়িতে রেখে এসেছিলেন।
স্থানীয়দের ধারনা যে, উনি নিজেই এই ঘটনার মূল হোতা। অথচ, নিজে পার পাওয়ার জন্য একেক সময় একেক কথা বলছেন। এতে করে সন্দেহের তীর তার দিকেই বর্তায়।
সুতরাং বিষয়টি সুস্পষ্ট। প্রতারণার শিকার গৃহবধু শ্রীরামপুর (সরদারপাড়া) গ্রামের সৌদি প্রবাসী আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী আছমা খাতুন জানান, ১৫ থেকে ২০ দিন পূর্বে একটি রং নম্বর থেকে আমার মোবাইলে ফোন আসে।
এরপর ওই নম্বর থেকে বলা হয় আপনার মেয়ে খাদিজার স্বামী হাবিবুর রহমান সেতুর আমি খালাতো ভাই। আপনার জামাই। বর্তমানে সে ৪ মাসের অন্ত:সত্ত্বা।
তার বাচ্চা নষ্ট করতে হবে এবং ওই পূর্বের স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য যাবতীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। তখন সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী প্রমাণ-
আছমা খাতুন প্রমাণ চাইলে তিনি টাকার বিনিময়ে পূর্বের বিয়ের নকল সংগ্রহ করে দিতে চান। এমন কথা বলে তার কাছে আপন সাজার চেষ্টা করেন।
এমন প্রলোভন দেখিয়ে প্রবাসী স্ত্রীর কাছে ওই প্রতারক মাদ্রাসা শিক্ষক ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক রিকোভারির অজুহাত দেখিয়ে তার বাড়িতে টাকা নিতে যান।
এসময় স্থানীয়রা তার অভিনব প্রতারণার কৌশল বুঝতে পেরে তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে সোপর্দ করে তার শাস্তির দাবী জানান।
উপস্থিত জনগণের টানটান উত্তেজনা দেখে তার মোটরসাইকেলটি হেফাজতে রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে-
কথা হলে তিনি জানান, নওগাঁ গোস্তহাটির মোড়ের সুজন নামের এক বন্ধুর কাছে আমি টাকা চাইলে তিনি আমাকে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন।
পরে টাকা নিতে এসে এ ঘটনার স্বীকার হই। এব্যাপারে গণেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোটরসাইকেলটি-
হেফাজতে রাখার কথা স্বাীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে সমাধানের জন্য তাকে ডাকা হলে তিনি না এসে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করছেন। তিনি না আসার কারনে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয় নি।