আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আফগানিস্তানে মোতায়েনকৃত মার্কিন তথা ন্যাটো সেনাদের হত্যা করতে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন তালিবানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠীকে অর্থ দেওয়ার খবরকে নাকচ করে দিয়েছে রাশিয়া।
তাছাড়া খবরটিকে ভিত্তিহীন হিসেবেও আখ্যায়িত করেছে পুতিন সরকার। এমনকি তালিবানের পক্ষ থেকেও রাশিয়ার কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একটি গোয়েন্দা সূত্রকে উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, গত বছর আফগানিস্তানে মার্কিন-
সেনাদের উপর হামলা চালানোর জন্য গোপনে তালিবানদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ইউরোপে হত্যাকাণ্ড পরিচালনায় জড়িত রুশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামি জঙ্গি বা অন্য সশস্ত্র অপরাধীরা ওই রুশ গোয়েন্দাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলে। এমনকি মার্কিন সেনাদের উপর হামলা চালানোর জন্য ইতোমধ্যে কিছু অর্থও পেয়েছে তারা।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের সেই প্রতিবেদনের বিষয়ে হোয়াইট হাউস, সিআইএ ও ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স প্রধানের দপ্তর মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সামর্থ্যের নিম্নমান প্রমাণ করছে।
শনিবার ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ দূতাবাসের এক টুইটে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দাদের এমন দাবি ‘ওয়াশিংটন ডিসি ও লন্ডনে রাশিয়ান দূতাবাসের কর্মীদের জীবনকে সরাসরি হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।’
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দারা বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন।
তবে এই ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা কোনও পদক্ষেপের বিষয়ে হোয়াইট হাউস এখনও কোনও অনুমতি দেয়নি।
২০১৯ সালে অন্তত ২০ জন মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে নিহত হয়েছিলেন। তবে প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কোন হত্যাগুলো রাশিয়ার আর্থিক মদদে হয়েছে।
দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর এ বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আফগানিস্তানে এখন মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনাদের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার।
সূত্র : আল জাজিরা, নিউ ইয়র্ক টাইমস