আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে ভারতকে হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে চীনবিরোধী মনোভাব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ১৯৬২ সালের যুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়তে হবে ভারতকে।
তবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যুদ্ধের বদলে উত্তেজনা প্রশমন করতে চাইছেন বলে মনে করছে গ্লোবাল টাইমস।
দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে উত্তেজনার পর গত ১৫ জুন (সোমবার) উভয় পক্ষ সংঘাতে জড়ায়।
এতে ভারতের পক্ষে ২০ সেনা নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়। এমনকি দাবি করা হয়, এতে বেশ কয়েকজন চীনা সেনাও নিহত হয়েছে।
যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনো মুখ খুলেনি বেইজিং। ভারত ও চীন পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করার অভিযোগ এনেছে।
দুদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর ভারতে চীন বিরোধিতা জোরাল হয়েছে। চীনা পণ্য বয়কটের ক্যাম্পেইন চলছে সেখানে।
রবিবার (২১ জুন) চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রমাগত বাড়তে থাকা চীনবিরোধী মনোভাবকে-
ভারত সরকার নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে সেদেশের অবস্থা ১৯৬২ সালে সীমান্ত সংঘাতকালীন পরিস্থিতির চেয়েও নাজুক হবে।
সম্প্রতি, ভারতের সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী ভিকে সিং বলেছেন, আমাদের পক্ষের যদি ২০ জন নিহত হয়ে থাকে, তবে তাদের (চীন) পক্ষের অন্তত দ্বিগুণ সংখ্যক সেনা প্রাণ হারিয়েছে।
গ্লোবাল টাইমস মনে করে, এ ধরনের হুঙ্কার দিয়ে ভারত মূলত দেশের কট্টরপন্থিদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছে। সরকার চায় না কট্টরপন্থিরা সরকারের ওপর আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করুক এবং চীনকে উসকে দিক।
বেইজিংও এখন পর্যন্ত তাদের পক্ষে প্রাণহানির সংখ্যা প্রকাশ করেনি, কারণ দেশটিও চলমান উত্তেজনা প্রশমিত করতে চায়।
গ্লোবাল টাইমস মনে করে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সে দেশের সেনাদেরকে চীন সীমান্তে যে কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
নেওয়ার অনুমতি দিলেও তিনি মূলত গালওয়ান উপত্যকায় সাম্প্রতিক সংঘাতজনিত উত্তেজনা প্রশমিত করতে চাইছেন।
জনগণের উদ্দেশে মোদী বলেছিলেন, কেউ আমাদের সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেনি। কেউ এখন সেখানে নেই। আমাদের কোনো নিরাপত্তা চৌকিও দখল হয়ে যায়নি।