আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিহত হন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড। বর্ণবাদী এ ঘটনায় করোনা মহামারির মধ্যেও বর্তমানে দেশটিতে তুমুল বিক্ষোভ চলছে।
বিক্ষোভকারীরা গত শুক্রবার (২৯ মে) ওয়াশিংটন শহর, মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও বাসভবন হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
সে সময় সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ভেতরেই একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নেন বলে একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
রবিবার (৩১ মে) সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমসসহ বেশকিছু পত্রিকা জানায়, শুক্রবার ওয়াশিংটনে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউজে লকডাউন আরোপ করা হয়।
সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন এসময় সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাঙ্কারে সরিয়ে নেয়।
সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাতে নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রায় এক ঘণ্টা বাঙ্কারে অবস্থান করেন ট্রাম্প।
দেশব্যাপী বিক্ষোভের জেরে শনিবার (৩০ মে) রাতেও প্রেসিডেন্টকে বাঙ্কারে নেওয়া হয় কিনা, সে ব্যাপারে প্রতিবেদনে কিছু জানানো হয়নি। জর্জ ফ্লয়েড নিহতের ঘটনায় শনিবারেই সবচেয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
ফ্লয়েড হত্যার জেরে টানা ৮ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ চলছে। এরই মাঝে এ ঘটনায় অন্তত ৭৫টি শহর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বলে খবরে প্রকাশ।
সিএনএন জানায়, নিরাপত্তার কথা ভেবে পেন্টাগনের অনুরোধে বর্তমানে হোয়াইট হাউসের আশপাশে সেনা মোতায়েন করা রয়েছে।
সার্বিক পরিস্থিতিতে হুঁশিয়ারি জানিয়ে ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার অপেক্ষায় আছে সিক্রেট সার্ভিস।
যারাই হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা বলয় অতিক্রমের চেষ্টা করবে, তাদেরকে ভয়ংকর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।