আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের কারণে এমনিতেই কাবু হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অন্যদিকে পুলিশের হাতে মৃত্যুবরণ করা জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনোপোলিস শহরে চলছে সহিংস বিক্ষোভ।
আর এই বিক্ষোভ ধীরে ধীরে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে চুপ করে থাকতে পারেননি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়ে দিলেন দেশটির ইতিহাসে একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ এই প্রেসিডেন্ট।
ওবামা জানান, মিনেসোটাতে পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের ব্যাপারে তিনি অনেকের সঙ্গেই “দুঃখ” ভাগ করেছেন।
এর আগে গত সোমবার (২৫ মে) শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মিনিয়াপোলিসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের এক কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু দিয়ে তাকে মাটিতে চেপে ধরে রেখেছেন।
এসময় ফ্লয়েড বলেছেন, ‘প্লিজ, আমি শ্বাস নিতে পারছি না’, ‘আমাকে মারবেন না।’ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ২০ ডলারের একটি জালনোট ব্যবহার করেছিলেন।
তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের গাড়িতে নেওয়ার আগে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, হাতকড়া পরাতে বাধা দিচ্ছিলেন তিনি।
এ ব্যাপারে ওবামা জানান, ২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্রে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ জর্জ ফ্লয়েডের পুলিশের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক হওয়া উচিত নয়।
ওবামা বলেন, ‘এমনটা স্বাভাবিক বিষয় হতে পারে না। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা এমন একটি জাতির মধ্যে বেড়ে উঠুক, যেখানে সর্বোচ্চ আদর্শ টিকে আছে। এটাই আমাদের জন্য ভালো এবং এটি আমরা করে পারি।
এ ঘটনায় ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু রাখা ৪৪ বছর বয়সী পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনসহ চারজন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগে ডেরেক শভিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ জুন) তার আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে।