ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহাবিপদ সংকেত নিয়ে এগিয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড়”আম্পান’

আজ যে কোন সময় আসতে পারে মহা বিপদ সংকেত

ডেক্স রিপোর্ট:    ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সুপার সাইক্লোন আম্ফান আরও এগিয়ে এসেছে, দুপুর নাগাদ গতিপথ কিছুটা স্পষ্ট হবে। এখনো পূর্বের সংকেতই অব্যাহত আছে, তবে দুএক ঘণ্টার মধ্যে মহাবিপদ সংকেত আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোনে রূপ নেয়া ঝড়টি আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার (১৯ মে) রাতে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আম্ফানের শক্তি ২০০৭ সালে তাণ্ডব চালানো সিডরের মতো। এটি উপকূলে আঘাত হানলে হতে পারে ভয়াভহ ক্ষয়ক্ষতি। তার সঙ্গে শরীরিক দূরত্ব ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে ছড়াতে পারে করোনার সংক্রমণও। এসব বিষয় মাথায় রেখে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অতিসম্প্রতি দেশে আঘাত হানা ঘূণিঝড়গুলোর তুলনায় বেশি শক্তিশালী মনে হচ্ছে আম্ফানকে। শক্তি ও গতি-প্রকৃতি পর্যালোচনা করে এ সাইক্লোনকে সিডরের মতো শক্তিশালী বলে মনে করছেন তারা। তবে সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি হবে বলেও ধারণা তাদের।

আবহাওয়াবিদ ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, এটার শক্তিশালী সিডরের মতো। তবে দেখা যাচ্ছে সুন্দবনের ওপর দিয়ে গেলে কম বাতাস পাব।জলবায়ুবিদ ও বুয়েট শিক্ষক বজলুর রহমান বলেন, এ ধরনের সাইক্লোন আমরা দেখেছিলাম ভোলা বা ১৯৯১ বা সিডরে। ৪ থেকে ৬ মিটার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।  

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়বে। এ কারণে প্রয়োজন বিশেষ প্রস্তুতির পরামর্শ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের।

সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল নেওয়াজ বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও সব রকমের স্বাস্থ্যবিধি রেখেই আম্ফানের ব্যবস্থা করতে হবে।

শরীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই আম্ফান মোকাবিলার যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে বলে দাবি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ৫০ বছর ধরে এরক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে রোল মডেল। কাজেই এটা আমাদের অতিরিক্ত চাপ না।
ঝড়ের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে জনগণকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

মহাবিপদ সংকেত নিয়ে এগিয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড়”আম্পান’

আপডেট সময় ০৯:২৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

ডেক্স রিপোর্ট:    ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সুপার সাইক্লোন আম্ফান আরও এগিয়ে এসেছে, দুপুর নাগাদ গতিপথ কিছুটা স্পষ্ট হবে। এখনো পূর্বের সংকেতই অব্যাহত আছে, তবে দুএক ঘণ্টার মধ্যে মহাবিপদ সংকেত আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোনে রূপ নেয়া ঝড়টি আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার (১৯ মে) রাতে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আম্ফানের শক্তি ২০০৭ সালে তাণ্ডব চালানো সিডরের মতো। এটি উপকূলে আঘাত হানলে হতে পারে ভয়াভহ ক্ষয়ক্ষতি। তার সঙ্গে শরীরিক দূরত্ব ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে ছড়াতে পারে করোনার সংক্রমণও। এসব বিষয় মাথায় রেখে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অতিসম্প্রতি দেশে আঘাত হানা ঘূণিঝড়গুলোর তুলনায় বেশি শক্তিশালী মনে হচ্ছে আম্ফানকে। শক্তি ও গতি-প্রকৃতি পর্যালোচনা করে এ সাইক্লোনকে সিডরের মতো শক্তিশালী বলে মনে করছেন তারা। তবে সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি হবে বলেও ধারণা তাদের।

আবহাওয়াবিদ ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, এটার শক্তিশালী সিডরের মতো। তবে দেখা যাচ্ছে সুন্দবনের ওপর দিয়ে গেলে কম বাতাস পাব।জলবায়ুবিদ ও বুয়েট শিক্ষক বজলুর রহমান বলেন, এ ধরনের সাইক্লোন আমরা দেখেছিলাম ভোলা বা ১৯৯১ বা সিডরে। ৪ থেকে ৬ মিটার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।  

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়বে। এ কারণে প্রয়োজন বিশেষ প্রস্তুতির পরামর্শ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের।

সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল নেওয়াজ বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও সব রকমের স্বাস্থ্যবিধি রেখেই আম্ফানের ব্যবস্থা করতে হবে।

শরীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই আম্ফান মোকাবিলার যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে বলে দাবি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ৫০ বছর ধরে এরক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে রোল মডেল। কাজেই এটা আমাদের অতিরিক্ত চাপ না।
ঝড়ের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে জনগণকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।