ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জয় Logo নওগাঁয় চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে মানব বন্ধন Logo নওগাঁয় মোবাইল কোর্টে ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকের জরিমানা Logo সেবা প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য নিজ উদ্যোগে ব্রেঞ্চ দিলেন বেলাল Logo বাংলাদেশ ব্যাটিং ব্যর্থতায় এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার Logo মানুষ আমার প্রেমে পড়ে, আমি পড়ি না: পরীমণি Logo বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ব্যবসা বন্ধ করলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত Logo অন্তর্বর্তী সরকার আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে না: জিএম কাদের Logo দ্বিতীয়বার রাজপথে নামতে প্রস্তুত আছি,,প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত: সারজিস আলম Logo এমএলএসের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি

ভারত থেকে চাঁদার দাবি; চট্টগ্রামে প্রবাসীর বাড়িতে পেট্রোল বোমা

মঙ্গলবার ভোরে বন্দরনগরীর পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান।

ওই বাড়ির মালিক দুই ভাই নুরুল আবসার ও নুরুল আক্কাস সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে থাকেন বহু বছর ধরে। তবে আক্কাস গত কয়েক মাস ধরে চট্টগ্রামে আছেন।

তিনি বলেন, নগরীর চান্দগাঁও হাজীরপুল এলাকায় তাদের পৈত্রিক জমিতে গত আট মাস ধরে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। “গতকাল বিকালে নগরীর আলোচিত সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরের নাম করে এক লোক দুবাইয়ে আমার বড় ভাইকে ফোন দিয়ে বলে, ‘ভারত থেকে সাজ্জাদ ভাই’ ফোন করবে, ফোন যেন উনি রিসিভ করেন।

“পরে শিবিরের ক্যাডার সাজ্জাদের পরিচয় দিয়ে ভারতীয় এক নম্বর থেকে আমার বড় ভাইকে ফোন করে আরেক লোক। সে বলে আমাদের ভবন থেকে একটি ফ্ল্যাট না হয় এক কোটি টাকা দিতে হবে তাকে।”

আক্কাস বলেন, সোমবার ওই ফোন পাওয়ার পর দুবাই থেকে আবসার তাকে বিষয়টি জানান। কিন্তু ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তারা আর পুলিশকে কিছু জানাতে পারেননি।

“ভেবেছিলাম সকালে গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাব। তার আগেই ভোরে আমাদের বাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হল।”

পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জানিয়ে পাঁচলাইশ থানার ওসি কাশেম বলেন, “ভবন নির্মাণ কাজে কেউ বাধা দেয়নি। কিন্তু ভারতীয় নম্বর থেকে দুবাইতে ফোন করেছে। এর পেছনে কারা জড়িত আমরা জানার চেষ্টা করছি।”

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে ২০০০ সালে ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মীসহ আটজনকে গুলি করে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিবিরকর্মী সাজ্জাদ হোসেন খান বহু বছর ধরে পলাতক। বর্তমানে তিনি ভারতের কারাগারে বন্দি আছেন বলে বিভিন্ন সময়ে খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমে।

চট্টগ্রাম নগরীতে সাজ্জাদ এবং তার সহযোগী সরোয়ার ও ম্যাক্সনের নাম দিয়ে ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবির ঘটনা আগেও ঘটেছে। সে সময়ও বাড়ি গিয়ে পেট্রোল বোমা হামলা কিংবা গুলি করার মত ঘটনা ঘটেছে।

গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ বোস্তামি থানার নয়াহাট এলাকায় এক গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির পর তার বাড়িতে পেট্রোলে বোমা ছোড়া হয়েছিল। পাশাপাশি আরেক ব্যবসায়ীর কাছে সাজ্জাদের পরিচয়ে ফোন করে চাঁদা দাবি করা হয়েছিল।

ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাজ্জাদের সহযোগী সরোয়ারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার আগে আগেই তিনি দুবাই থেকে দেশে ফিরেছিলেন।

 

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জয়

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ভারত থেকে চাঁদার দাবি; চট্টগ্রামে প্রবাসীর বাড়িতে পেট্রোল বোমা

আপডেট সময় ০৭:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০

মঙ্গলবার ভোরে বন্দরনগরীর পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান।

ওই বাড়ির মালিক দুই ভাই নুরুল আবসার ও নুরুল আক্কাস সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে থাকেন বহু বছর ধরে। তবে আক্কাস গত কয়েক মাস ধরে চট্টগ্রামে আছেন।

তিনি বলেন, নগরীর চান্দগাঁও হাজীরপুল এলাকায় তাদের পৈত্রিক জমিতে গত আট মাস ধরে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। “গতকাল বিকালে নগরীর আলোচিত সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরের নাম করে এক লোক দুবাইয়ে আমার বড় ভাইকে ফোন দিয়ে বলে, ‘ভারত থেকে সাজ্জাদ ভাই’ ফোন করবে, ফোন যেন উনি রিসিভ করেন।

“পরে শিবিরের ক্যাডার সাজ্জাদের পরিচয় দিয়ে ভারতীয় এক নম্বর থেকে আমার বড় ভাইকে ফোন করে আরেক লোক। সে বলে আমাদের ভবন থেকে একটি ফ্ল্যাট না হয় এক কোটি টাকা দিতে হবে তাকে।”

আক্কাস বলেন, সোমবার ওই ফোন পাওয়ার পর দুবাই থেকে আবসার তাকে বিষয়টি জানান। কিন্তু ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তারা আর পুলিশকে কিছু জানাতে পারেননি।

“ভেবেছিলাম সকালে গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাব। তার আগেই ভোরে আমাদের বাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হল।”

পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জানিয়ে পাঁচলাইশ থানার ওসি কাশেম বলেন, “ভবন নির্মাণ কাজে কেউ বাধা দেয়নি। কিন্তু ভারতীয় নম্বর থেকে দুবাইতে ফোন করেছে। এর পেছনে কারা জড়িত আমরা জানার চেষ্টা করছি।”

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে ২০০০ সালে ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মীসহ আটজনকে গুলি করে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিবিরকর্মী সাজ্জাদ হোসেন খান বহু বছর ধরে পলাতক। বর্তমানে তিনি ভারতের কারাগারে বন্দি আছেন বলে বিভিন্ন সময়ে খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমে।

চট্টগ্রাম নগরীতে সাজ্জাদ এবং তার সহযোগী সরোয়ার ও ম্যাক্সনের নাম দিয়ে ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবির ঘটনা আগেও ঘটেছে। সে সময়ও বাড়ি গিয়ে পেট্রোল বোমা হামলা কিংবা গুলি করার মত ঘটনা ঘটেছে।

গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ বোস্তামি থানার নয়াহাট এলাকায় এক গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির পর তার বাড়িতে পেট্রোলে বোমা ছোড়া হয়েছিল। পাশাপাশি আরেক ব্যবসায়ীর কাছে সাজ্জাদের পরিচয়ে ফোন করে চাঁদা দাবি করা হয়েছিল।

ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাজ্জাদের সহযোগী সরোয়ারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার আগে আগেই তিনি দুবাই থেকে দেশে ফিরেছিলেন।