জানা গেছে, উলিপুর-রাজারহাট সড়কে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের সরফদি গ্রামের কয়েক শ নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে রাস্তায় শুয়ে খাদ্যের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় তারা ত্রাণ বিরতণে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তোলেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ওই গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরপর তিন দফায় সরকারি খাদ্য বিতরণ করা হলেও, তাদের অনেকেই এই সহায়তা পাননি। আমরা নিদারুণ কষ্টে দিন পারি দিলেও জন প্রতিনিধিরা কেউ খোঁজ নিচ্ছেন না। তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান-মেম্বাররা তাদের লোকদের রিলিফ দেয়। যারা তাদের ভোট দেয় নাই, তাদেরকে কিছুই দেয় না।
ওই এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম রাজু বলেন, ওই ওয়ার্ডের তিন গ্রামের প্রায় ১৮০০ ভোটারের মধ্যে তিন দফায় প্রায় ১০০ লোককে ত্রাণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাই পাবেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান মুন্সী বলেন, তার ইউনিয়নের কোন অনাহারি মানুষ নেই। সমস্যা থাকতে পারে। সরকারি ঘোষণা ছিল, বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। এ কারণে সবাই ত্রাণ চায়। অথচ যারা রাস্তায় নেমেছেন, তাদের কারো বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী, ভিজিডিসহ বিভিন্ন সরকারি সহায়তার কার্ড আছে।
তিনি আরও বলেন, ওই ওয়ার্ডের সরফদি কানি পাড়ায় সম্প্রতি আবু নামের একজন ঢাকা থেকে এসে মানুষজনকে উস্কে দিয়েছে। তার নিশ্চই কোনো দুরভিসন্ধি আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের বলেন, আগামী বরাদ্দে প্রকৃত লোকজনের নাম তালিকায় থাকবে এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।