ঢাকা ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo সাদপন্থী নেতা মোয়াজ বিন নূরের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর Logo ৯ দফা দাবিতে নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অবস্থান Logo ’’বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর’ নাম পরিবর্তন’’ নতুন নাম যমুনা রেলসেতু Logo নওগাঁ এডুকেশন ফাউন্ডেশন এর ৫ম তম বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন Logo অ্যাটলির সিনেমায় সালমান খান Logo রূপালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাত, জিম্মি কর্মকর্তারা Logo ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় কাপে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক Logo যথাসময়ে ইজতেমা, সহিংসতাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ত্রাণ চেয়ে ৩৩৩ এ ফোন, দিলেন জরিমানা

ছবিঃ ৩৩৩ হটলাইন

স্টাফ রিপোর্টারঃ  ত্রাণ পাওয়ার উপযোগী নন তাঁরা। একজন ঠিকাদার, অপরজন ব্যবসায়ী। তারপরও মজা করে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সরকারি ত্রাণ চান। এরপর রাতের আঁধারে প্রশাসনের লোকজন ত্রাণ নিয়ে হাজির হন ওই দুই ব্যক্তির বাড়িতে।

পরে ওই দুই ব্যক্তি জানান, কোনো ত্রাণসামগ্রীর প্রয়োজন নেই। মজা করতে ফোন দিয়েছিলেন। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাতে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের ধোবারুহি গ্রামে। দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন ধোবারুহি গ্রামের বাসিন্দা মো. হারুন অর রশিদ (৫৫) ও মো. আবুল বাশার (৩৮)।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই দুই ব্যক্তি করোনার কারণে বাইরে যেতে পারছেন না। গত সোমবার সন্ধ্যায় সরকারি জরুরি সাহায্য সেবার ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে খাবার চান। পরে সেখান থেকে ওই বার্তা নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামকে জানানো হয়। জেলা প্রশাসক সঙ্গে সঙ্গে পূর্বধলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে কুলসুমকে ওই দুই ব্যক্তির ঘরে প্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। রাত আটটায় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পূর্বধলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন বেগম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান ওই দুই ব্যক্তির পাশাপাশি বাড়িতে যান। সাহায্যপ্রার্থী ওই দুজন জানান, তাঁদের ত্রাণের বা খাবারের কোনো অভাব নেই। মজা করে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেছিলেন।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ত্রাণকাজে বিঘ্ন সৃষ্টির অপরাধে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে হারুন অর রশিদকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং আবুল বাশারকে তিন হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন দিনের কারাদণ্ড দেন। অবশ্য তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে টাকা পরিশোধ করে দায়মুক্ত হন।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে কুলসুম বলেন, সরকারি ত্রাণ নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য, যাঁদের কর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ হারুন অর রশিদ পেশায় একজন ঠিকাদার। অপরজন ব্যবসায়ী। তাঁদের ঘরে যথেষ্ট খাবার মজুত আছে। মজা করে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে তাঁরা এই কাজ করেছিলেন। পরে আদালত তাঁদের দণ্ড দিয়েছেন।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

সাদপন্থী নেতা মোয়াজ বিন নূরের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ত্রাণ চেয়ে ৩৩৩ এ ফোন, দিলেন জরিমানা

আপডেট সময় ০৮:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ  ত্রাণ পাওয়ার উপযোগী নন তাঁরা। একজন ঠিকাদার, অপরজন ব্যবসায়ী। তারপরও মজা করে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সরকারি ত্রাণ চান। এরপর রাতের আঁধারে প্রশাসনের লোকজন ত্রাণ নিয়ে হাজির হন ওই দুই ব্যক্তির বাড়িতে।

পরে ওই দুই ব্যক্তি জানান, কোনো ত্রাণসামগ্রীর প্রয়োজন নেই। মজা করতে ফোন দিয়েছিলেন। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাতে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের ধোবারুহি গ্রামে। দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন ধোবারুহি গ্রামের বাসিন্দা মো. হারুন অর রশিদ (৫৫) ও মো. আবুল বাশার (৩৮)।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই দুই ব্যক্তি করোনার কারণে বাইরে যেতে পারছেন না। গত সোমবার সন্ধ্যায় সরকারি জরুরি সাহায্য সেবার ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে খাবার চান। পরে সেখান থেকে ওই বার্তা নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামকে জানানো হয়। জেলা প্রশাসক সঙ্গে সঙ্গে পূর্বধলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে কুলসুমকে ওই দুই ব্যক্তির ঘরে প্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। রাত আটটায় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পূর্বধলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন বেগম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান ওই দুই ব্যক্তির পাশাপাশি বাড়িতে যান। সাহায্যপ্রার্থী ওই দুজন জানান, তাঁদের ত্রাণের বা খাবারের কোনো অভাব নেই। মজা করে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেছিলেন।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ত্রাণকাজে বিঘ্ন সৃষ্টির অপরাধে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে হারুন অর রশিদকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং আবুল বাশারকে তিন হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন দিনের কারাদণ্ড দেন। অবশ্য তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে টাকা পরিশোধ করে দায়মুক্ত হন।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে কুলসুম বলেন, সরকারি ত্রাণ নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য, যাঁদের কর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ হারুন অর রশিদ পেশায় একজন ঠিকাদার। অপরজন ব্যবসায়ী। তাঁদের ঘরে যথেষ্ট খাবার মজুত আছে। মজা করে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে তাঁরা এই কাজ করেছিলেন। পরে আদালত তাঁদের দণ্ড দিয়েছেন।