ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo গণঅভ্যুত্থানে হত্যাসহ ১২ মামলার চার্জশিট দিল পুলিশ Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে নওগাঁয় প্রতীকী ম্যারাথন Logo বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প Logo নওগাঁয় ‘সিডেফ’ এর মানবাধিকার কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন Logo পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা Logo যাত্রাবাড়ীতে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার Logo ‘সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করলে গোপালগঞ্জে লং মার্চ: নাহিদ ইসলাম Logo ইসরায়েলের ৩ সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা Logo ঢাকা বোর্ডের সামনে আজও এসএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

অতি বেগুনি রশ্মির এলইডি লাইট দিয়ে ধ্বংস হবে করোনা ভাইরাস!

করোনা ভাইরাস (ছবি : সংগৃহীত)

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসার ওষুধ উদ্ভাবনে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিজ্ঞানিরা। তবে ভ্যাকসিন আসতে এখনো এক থেকে দেড় বছর দেরি। সে কারণে করোনার কবল থেকে বাঁচতে নানা ধরনের উপায়ের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

হাঁচি-কাশি দিলে কিংবা চোখে-নাকে হাত দেওয়ার পর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি বাইরে থেকে আসার পর হাত-পা তো বটেই, গোসলও করতে বলা হচ্ছে। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য পরিহিত পোশাক সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকানোর কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা বারবারা’র সলিড স্টেট লাইটিং অ্যান্ড অ্যানার্জি ইলেকট্রনিক্স সেন্টার (এসএসএলইইসি) জানিয়েছে, অতি বেগুনি রশ্মি ছড়ানো এলইডি লাইট করোনা ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে। এ ধরনের এলইডি লাইট পৃষ্ঠতল, বাতাস ও পানি করোনা ভাইরাস মুক্ত করতে পারে। আর সেটি তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি।

গবেষক ক্রিস্টিয়ান জোলনার বলেন, হাসপাতালের মতো জায়গায় জীবাণুনাশক, পার্সোনাল প্রোটকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) জীবাণু থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। সেই সঙ্গে হিটিং ভেন্টিলেশন এবং এয়ার কন্ডিশন অনেকটা কাজে দেয়। এরই মধ্যে জীবাণু ধ্বংস করার জন্য ছোট আকারের স্থানগুলোতে অতি বেগুনি রশ্মি সমৃদ্ধ এলইডি লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, অতি বেগুনি রশ্মি করোনাভাইরাস শরীরে ঢুকে পড়ার আগে ধ্বংস করতে সক্ষম। করোনার জীবাণু ধ্বংসে এটি কার্যকর। এসএসএলইইসি গবেষণা করে দেখেছে, অতি বেগুনি রশ্মিতে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ করোনাভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায়। আর সেটাও মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে মোট ১৯ লাখ ৯৭ হাজার নয়শ ছয়জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৬ হাজার ছয়শ জনের।  বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৯২ হাজার সাতশ ৪৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫১ হাজার ছয়শ নয় জনের অবস্থা গুরুতর। সূত্র : মেডিকেল এক্সপ্রেস ডটকম

ট্যাগস

গণঅভ্যুত্থানে হত্যাসহ ১২ মামলার চার্জশিট দিল পুলিশ

অতি বেগুনি রশ্মির এলইডি লাইট দিয়ে ধ্বংস হবে করোনা ভাইরাস!

আপডেট সময় ০২:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসার ওষুধ উদ্ভাবনে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিজ্ঞানিরা। তবে ভ্যাকসিন আসতে এখনো এক থেকে দেড় বছর দেরি। সে কারণে করোনার কবল থেকে বাঁচতে নানা ধরনের উপায়ের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

হাঁচি-কাশি দিলে কিংবা চোখে-নাকে হাত দেওয়ার পর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি বাইরে থেকে আসার পর হাত-পা তো বটেই, গোসলও করতে বলা হচ্ছে। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য পরিহিত পোশাক সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকানোর কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা বারবারা’র সলিড স্টেট লাইটিং অ্যান্ড অ্যানার্জি ইলেকট্রনিক্স সেন্টার (এসএসএলইইসি) জানিয়েছে, অতি বেগুনি রশ্মি ছড়ানো এলইডি লাইট করোনা ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে। এ ধরনের এলইডি লাইট পৃষ্ঠতল, বাতাস ও পানি করোনা ভাইরাস মুক্ত করতে পারে। আর সেটি তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি।

গবেষক ক্রিস্টিয়ান জোলনার বলেন, হাসপাতালের মতো জায়গায় জীবাণুনাশক, পার্সোনাল প্রোটকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) জীবাণু থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। সেই সঙ্গে হিটিং ভেন্টিলেশন এবং এয়ার কন্ডিশন অনেকটা কাজে দেয়। এরই মধ্যে জীবাণু ধ্বংস করার জন্য ছোট আকারের স্থানগুলোতে অতি বেগুনি রশ্মি সমৃদ্ধ এলইডি লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, অতি বেগুনি রশ্মি করোনাভাইরাস শরীরে ঢুকে পড়ার আগে ধ্বংস করতে সক্ষম। করোনার জীবাণু ধ্বংসে এটি কার্যকর। এসএসএলইইসি গবেষণা করে দেখেছে, অতি বেগুনি রশ্মিতে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ করোনাভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায়। আর সেটাও মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে মোট ১৯ লাখ ৯৭ হাজার নয়শ ছয়জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৬ হাজার ছয়শ জনের।  বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৯২ হাজার সাতশ ৪৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫১ হাজার ছয়শ নয় জনের অবস্থা গুরুতর। সূত্র : মেডিকেল এক্সপ্রেস ডটকম