আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউনের সময়সীমা আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে ভারত। প্রায় ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে সবখানেই চলমান এই নিষেধাজ্ঞাকে বলা হচ্ছে বিশ্বের ‘বৃহত্তম লকডাউন’।
মঙ্গলবার ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে টেলিভিশনে প্রচারিত জাতির উদ্দেশে ভাষণে এ নিদের্শনা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ৩ মে পর্যন্ত ভারতের সবাইকে লকডাউনে থাকতে হবে। অন্য এলাকায় করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে আমি সবাইকে অনুরোধ জানাই।
মোদি জানান, ভারতে ইতোমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার পার হয়ে গেছে। সেখানে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৬৩ জন, মারা গেছেন ৩৩৯ জন।
ইতালি-যুক্তরাষ্ট্রের মতো পশ্চিমা দেশের তুলনায় এই সংখ্যা অত্যন্ত কম হলেও বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ভারতে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। করোনা পরীক্ষার স্বল্পতার কারণেই সেটি সামনে আসছে না।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউনের কারণে জাতি অনেক উপকৃত হচ্ছে। যদি অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি- এর জন্য অনেক বড় মূল্য চুকাতে হচ্ছে। তবে ভারতীদের জীবনের সঙ্গে এর কোনওভাবেই তুলনা চলে না।
এদিনও লকডাউনের কারণে বেকার হয়ে পড়া লাখো মানুষের ত্রাণ সহায়তার বিষয়ে কোনও নির্দেশনা দেননি এ বিজেপি নেতা। তবে বলেছেন, এর কারণে খাবারের অভাবে ভোগা দরিদ্র পরিবারগুলো, গ্রামে পৌঁছাতে না পারা অসংখ্য অভিবাসী কর্মীর জন্য তিনি কষ্ট অনুভব করছেন।
অবশ্য লকডাউন তোলার বিষয়ে কিছুটা ইতিবাচক বার্তাও দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, দেশের যেসব জায়গায় সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি কম মনে হবে, ২০ এপ্রিলের পর সেখানে লকডাউনের নির্দেশনা কিছুটা শিথিল করা হবে। কিন্তু যদি দেখা যায়, তাতে আবার সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তাহলে ফের কঠোরভাবে লকডাউন করা হবে। সূত্র: রয়টার্স