ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিষাক্ত স্পিরিট পানে পাবনার ঈশ্বরদীর সাবেক পৌর মেয়রের ছেলেসহ দু জনের মৃত্যু

সরকারি নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের হোমিও ওষুধ বিক্রেতা শ্যামল ওরফে হায়দার কাছ থেকে স্পিরিট ক্রয় করেন তারা

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে অতিরিক্ত স্পিরিট পানে দুই যুবকের মর্মন্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের এই মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়।

নিহত দুইজন হলো বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোকলেছুর রহমান বাবলুর ছেলে ওহেদুর রহমান সজল (২৮) ও সজলের বন্ধু ফতেমোহাম্মদপুর এলাকার মৃত সামুর ছেলে রাজু (৩২)।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ঈশ্বরদী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর কামাল আশরাফি জানান, রবিবার শনিবার (১১ এপ্রিল) রাতে ঈশ্বরদীর রেলওয়ের সরকারি নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের হোমিও ওষুধ বিক্রেতা শ্যামল ওরফে হায়দার কাছ থেকে স্পিরিট ক্রয় করেন তারা। তা খাওয়ার এক পর্যায়ে দুই জনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোববার সকালে প্রথমে তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত সাড়ে ৯টায় সজলের ও পৌনে আটটার দিকে রাজুর মৃত্যু হয়।

নিহত সজলের ছোট ভাই মাহাদী রহমান শাহারাত জানান, শনিবার রাতে তার ভাই সজলের হঠাৎ পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে স্পিরিট পানের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, করোনার পাদুর্ভাবের জন্যে ঈশ্বরদীতে অ্যালকোহলের সংকট হওয়ায় তারা স্পিরিট পান করেছেন বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।

তবে স্পিরিটের সাথে বিষাক্ত কোনো কিছু থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাদের মরদেহ রাজশাহীতে ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে ঈশ্বরদীতে আনা হবে বলে পরিবার নিশ্চিত করেছেন। তবে ঘটনার পর পরই ঈশ্বরদী থানা পুলিশ স্পিরিট বিক্রেতা শ্যামলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে পারেনি।

তিনি পলাতক রয়েছেন বলেও জানান ওসি। এ ঘটনায় এখন পর্যণÍ থানায় কোন প্রকার অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রসঙ্গত, নিহত সজলের পিতা ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোকলেছুর রহমান বাবলু, তার ভাই রজাউল করিম শাহিন ও মাহবুবুর রহমান পলাশ তিন ভাই ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার মামলার রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী।

তারা বর্তমানে রাজশাহী কারাগারে আছেন। এই মামলার রায় গত বছরের জুলাইতে রায় হয়। #

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

বিষাক্ত স্পিরিট পানে পাবনার ঈশ্বরদীর সাবেক পৌর মেয়রের ছেলেসহ দু জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ১০:৪৭:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে অতিরিক্ত স্পিরিট পানে দুই যুবকের মর্মন্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের এই মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়।

নিহত দুইজন হলো বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোকলেছুর রহমান বাবলুর ছেলে ওহেদুর রহমান সজল (২৮) ও সজলের বন্ধু ফতেমোহাম্মদপুর এলাকার মৃত সামুর ছেলে রাজু (৩২)।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ঈশ্বরদী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর কামাল আশরাফি জানান, রবিবার শনিবার (১১ এপ্রিল) রাতে ঈশ্বরদীর রেলওয়ের সরকারি নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের হোমিও ওষুধ বিক্রেতা শ্যামল ওরফে হায়দার কাছ থেকে স্পিরিট ক্রয় করেন তারা। তা খাওয়ার এক পর্যায়ে দুই জনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোববার সকালে প্রথমে তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত সাড়ে ৯টায় সজলের ও পৌনে আটটার দিকে রাজুর মৃত্যু হয়।

নিহত সজলের ছোট ভাই মাহাদী রহমান শাহারাত জানান, শনিবার রাতে তার ভাই সজলের হঠাৎ পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে স্পিরিট পানের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, করোনার পাদুর্ভাবের জন্যে ঈশ্বরদীতে অ্যালকোহলের সংকট হওয়ায় তারা স্পিরিট পান করেছেন বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।

তবে স্পিরিটের সাথে বিষাক্ত কোনো কিছু থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাদের মরদেহ রাজশাহীতে ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে ঈশ্বরদীতে আনা হবে বলে পরিবার নিশ্চিত করেছেন। তবে ঘটনার পর পরই ঈশ্বরদী থানা পুলিশ স্পিরিট বিক্রেতা শ্যামলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে পারেনি।

তিনি পলাতক রয়েছেন বলেও জানান ওসি। এ ঘটনায় এখন পর্যণÍ থানায় কোন প্রকার অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রসঙ্গত, নিহত সজলের পিতা ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোকলেছুর রহমান বাবলু, তার ভাই রজাউল করিম শাহিন ও মাহবুবুর রহমান পলাশ তিন ভাই ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার মামলার রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী।

তারা বর্তমানে রাজশাহী কারাগারে আছেন। এই মামলার রায় গত বছরের জুলাইতে রায় হয়। #