অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকবে দেশের শেয়ারবাজার। বন্ধের আগের শেষ কার্যদিবস বুধবার শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত শেয়ারবাজার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৯ মার্চের আগে বৃহস্পতিবার ২৬ মার্চ এবং ২৭ ও ২৮ মার্চ শুক্র ও শনিবার হওয়ায় এ তিন দিনও শেয়ারবাজার বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্ধারণ করা নতুন সার্কিট ব্রেকারের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অব্যাহত দরপতনের হাত থেকে শেয়ারবাজার রক্ষা করতে গত বৃহস্পতিবার নতুন সার্কিট ব্রেকার চালু করা হয়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন শুরু হবে শেষ পাঁচ কার্যদিবসের ক্লোজিং প্রাইসের গড় মূল্য দিয়ে। এর নিচে কোন কোম্পানির শেয়ার দাম নামতে পারবে না। তবে দাম বাড়ার সীমা আগের মতোই থাকবে।
সার্কিট ব্রেকারের নতুন এ নিয়মের কারণে শেয়ারের দাম নির্দিষ্ট সীমার নিচে নামতে না পারায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম অপরিবর্তিত থাকছে। বুধবার ডিএসই লেনদেনে অংশ নেয়া ৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩৬টির।
যে পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে তার থেকে বেশি প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ বেড়েছে দশমিক ৭ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর লেনদেন হয়েছে ৩৪৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৩৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২০৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ৭৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৬ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ১৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০টির। আর ১১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।