ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের সঙ্গে সংঘাতের খবর প্রচারে ইসরায়েলের বিধিনিষেধ

ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাতের খবর প্রচারে ইসরায়েল সরকার নতুন করে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সেন্সরশিপ বিভাগ গত বুধবার গণমাধ্যমের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে, যার মাধ্যমে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোন কোন খবর প্রচার করা যাবে না এবং কীভাবে তথ্য প্রকাশ করা হবে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে, যাতে দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে না পড়ে।

বুধবার (১৯ জুন) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সেন্সরশিপ বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কোবি ম্যান্ডেলব্লিট নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেন। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ইরানের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের খবর কিভাবে প্রকাশ করা হবে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কারণ, সংবাদ প্রচারে কোনো তথ্য শত্রুর হাতে পৌঁছালে তা দেশের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের সেন্সরশিপ আইনের ঐতিহ্য, যা ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে প্রথম আরোপিত হয়েছিল এবং পরে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর এই বিধিনিষেধগুলি ইসরায়েলি আইনে অন্তর্ভুক্ত হয়।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সংবাদ প্রচারে কঠোর বিধিনিষেধ পালন করতে হবে। সংবাদমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না যা থেকে বোঝা যায় কোথা থেকে হামলা হয়েছে, আকাশ প্রতিরক্ষা কিভাবে কাজ করছে, কিংবা হামলার প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি কতটুকু হয়েছে। এসব তথ্য শত্রুর কাজে লাগতে পারে বলে সামরিক সেন্সররা সতর্ক করেছে।

ফটো বা ভিডিওতে সামরিক স্থাপনা কিংবা হামলার স্থান দেখানো যাবে না। বিশেষ করে ড্রোন বা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা ব্যবহার করে বিধ্বস্ত এলাকা দেখানো বা সামরিক স্থাপনার নিকটবর্তী স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গার অবস্থান জানানোও নিষিদ্ধ। এছাড়া ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের দৃশ্য সম্প্রচার করা যাবে না।

সেন্সরশিপ বিভাগের অনুমোদন ব্যতীত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো ভিডিও প্রকাশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কারণ, অনেক সময় শত্রুপক্ষ ভুয়া তথ্য ছড়ায় এবং তা দেশীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করে। ইসরায়েলি সরকারের কঠোর এই পদক্ষেপ অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা

ট্যাগস

ইরানের সঙ্গে সংঘাতের খবর প্রচারে ইসরায়েলের বিধিনিষেধ

আপডেট সময় ১১:৫৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাতের খবর প্রচারে ইসরায়েল সরকার নতুন করে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সেন্সরশিপ বিভাগ গত বুধবার গণমাধ্যমের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে, যার মাধ্যমে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোন কোন খবর প্রচার করা যাবে না এবং কীভাবে তথ্য প্রকাশ করা হবে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে, যাতে দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে না পড়ে।

বুধবার (১৯ জুন) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সেন্সরশিপ বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কোবি ম্যান্ডেলব্লিট নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেন। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ইরানের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের খবর কিভাবে প্রকাশ করা হবে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কারণ, সংবাদ প্রচারে কোনো তথ্য শত্রুর হাতে পৌঁছালে তা দেশের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের সেন্সরশিপ আইনের ঐতিহ্য, যা ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে প্রথম আরোপিত হয়েছিল এবং পরে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর এই বিধিনিষেধগুলি ইসরায়েলি আইনে অন্তর্ভুক্ত হয়।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সংবাদ প্রচারে কঠোর বিধিনিষেধ পালন করতে হবে। সংবাদমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না যা থেকে বোঝা যায় কোথা থেকে হামলা হয়েছে, আকাশ প্রতিরক্ষা কিভাবে কাজ করছে, কিংবা হামলার প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি কতটুকু হয়েছে। এসব তথ্য শত্রুর কাজে লাগতে পারে বলে সামরিক সেন্সররা সতর্ক করেছে।

ফটো বা ভিডিওতে সামরিক স্থাপনা কিংবা হামলার স্থান দেখানো যাবে না। বিশেষ করে ড্রোন বা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা ব্যবহার করে বিধ্বস্ত এলাকা দেখানো বা সামরিক স্থাপনার নিকটবর্তী স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গার অবস্থান জানানোও নিষিদ্ধ। এছাড়া ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের দৃশ্য সম্প্রচার করা যাবে না।

সেন্সরশিপ বিভাগের অনুমোদন ব্যতীত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো ভিডিও প্রকাশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কারণ, অনেক সময় শত্রুপক্ষ ভুয়া তথ্য ছড়ায় এবং তা দেশীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করে। ইসরায়েলি সরকারের কঠোর এই পদক্ষেপ অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা