ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে আগুনের ভয়ে ট্রেন থেকে রেললাইনে ঝাঁপ,নিহত বেড়ে ১৩

ভারতের মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে একটি ট্রেনে আগুন লাগার গুজবের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ দিয়ে আরেক টেনের নিচে কাটা পড়ে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃতের সংখ্যা আপাতত ১৩। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বুধবার বিকেল পাঁচটায় জলগাঁওয়ের মাহেজি এবং পরধাড়ে স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, পুস্পক এক্সপ্রেসে হঠাৎ গুজব রটে যে ট্রেনে আগুন লেগেছে। চিৎকার–চেঁচামেচি শুরু হতেই ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। যাত্রীরা ভয়ে রেললাইনে নেমে পড়েন। কেউই দেখতে পাননি যে রেললাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেখান দিয়েই আরেকটি এক্সপ্রেস ট্রেন আসছে। যতক্ষণে ট্রেনের হর্ন ও আলো নজরে আসে, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। পাশের লাইন দিয়ে আসা কর্নাটক এক্সপ্রেস এসে ধাক্কা মারে। ট্রেনে কাটা পড়েন ১৩ জন। সাত জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।

মৃতদের পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, মৃতদের পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা, আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যাঁরা সামান্য চোট পেয়েছেন, তাঁরাও পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

এদিকে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। কেন চালক ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করিয়েছিলেন? যাত্রীদের একাংশ জানিয়েছেন, চালক ব্রেক কষতেই চাকায় আগুনের ফুলকি দেখা যায়। কয়েকজন যাত্রী তা দেখেই বলেন যে ট্রেনে আগুন লেগেছে। সেখান থেকে গুজব এবং তারপর দুর্ঘটনা।

তবে রেল সূত্রে খবর, ট্রেনের চেইন টেনেছিলেন কোনও যাত্রী। সেই কারণেই চালক এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। এরপরই যাত্রীরা রেললাইনে নামেন। আবার অনেক যাত্রীর দাবি, পুস্পক এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। ঠিক কী কারণে এমন দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব গোটা বিষয়টির বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন।

 

ট্যাগস

ভারতে আগুনের ভয়ে ট্রেন থেকে রেললাইনে ঝাঁপ,নিহত বেড়ে ১৩

আপডেট সময় ১২:৩৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

ভারতের মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে একটি ট্রেনে আগুন লাগার গুজবের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ দিয়ে আরেক টেনের নিচে কাটা পড়ে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃতের সংখ্যা আপাতত ১৩। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বুধবার বিকেল পাঁচটায় জলগাঁওয়ের মাহেজি এবং পরধাড়ে স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, পুস্পক এক্সপ্রেসে হঠাৎ গুজব রটে যে ট্রেনে আগুন লেগেছে। চিৎকার–চেঁচামেচি শুরু হতেই ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। যাত্রীরা ভয়ে রেললাইনে নেমে পড়েন। কেউই দেখতে পাননি যে রেললাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেখান দিয়েই আরেকটি এক্সপ্রেস ট্রেন আসছে। যতক্ষণে ট্রেনের হর্ন ও আলো নজরে আসে, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। পাশের লাইন দিয়ে আসা কর্নাটক এক্সপ্রেস এসে ধাক্কা মারে। ট্রেনে কাটা পড়েন ১৩ জন। সাত জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।

মৃতদের পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, মৃতদের পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা, আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যাঁরা সামান্য চোট পেয়েছেন, তাঁরাও পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

এদিকে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। কেন চালক ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করিয়েছিলেন? যাত্রীদের একাংশ জানিয়েছেন, চালক ব্রেক কষতেই চাকায় আগুনের ফুলকি দেখা যায়। কয়েকজন যাত্রী তা দেখেই বলেন যে ট্রেনে আগুন লেগেছে। সেখান থেকে গুজব এবং তারপর দুর্ঘটনা।

তবে রেল সূত্রে খবর, ট্রেনের চেইন টেনেছিলেন কোনও যাত্রী। সেই কারণেই চালক এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। এরপরই যাত্রীরা রেললাইনে নামেন। আবার অনেক যাত্রীর দাবি, পুস্পক এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। ঠিক কী কারণে এমন দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব গোটা বিষয়টির বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন।