ঢাকা ০২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ার এক গণকবরে ১ লাখ লাশ!

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বাইরে একটি গণকবরে প্রায় ১ লাখ মানুষের মরদেহ রয়েছে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে এসব মানুষকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্স এটি দাবি করেছে। খবর রয়টার্সের।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পর্যবেক্ষক সংস্থাটির প্রধান মৌয়াজ মুস্তাফা এ দাবি করেছেন। তবে পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধানের এমন দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।দামেস্ক থেকে টেলিফোনে দেয়া সাক্ষাৎকারে সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্সের প্রধান মৌয়াজ মুস্তাফা বলেন, রাজধানী দামেস্ক থেকে ২৫ মাইল বা প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে আল কুতায়ফাহ নামের ওই গণকবরের অবস্থান। গত কয়েক বছরের যে পাঁচটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তিনি, এটা তারই একটি। এই গণকরবে অন্তত এক লাখ মানুষকে পুঁতে ফেলা হয়েছে বলে তার দাবি।

সিরিয়ায় এ পাঁচটি ছাড়াও আরো অনেক গণকবর আছে বলে মনে করেন মুস্তাফা। এসব গণকবরে আসাদের আমলে নির্যাতনের শিকার সিরিয়ার নাগরিক ছাড়াও মার্কিন-ব্রিটিশসহ বিভিন্ন বিদেশি রয়েছে।এ বিষয়ে জানতে রয়টার্স সিরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কউশে আলদাহাকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাতে তিনি সাড়া দেননি। আসাদ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন গত জানুয়ারিতে তিনি সিরিয়াতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হন। তবে গত সপ্তাহে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নতুন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমাতে আসাদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ রয়েছে।

সিরিয়ায় সর্বশেষ ১৩ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের সময় বাশারের বাহিনীর হাতে কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।যদিও বাশার আল-আসাদ বরাবর তার সরকারের বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধীদের উগ্রপন্থি হিসেবে চিহ্নিত করার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।১২ দিনের ঝটিকা আক্রমণে গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয় হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও আরো কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিমানে করে দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।

 

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

সিরিয়ার এক গণকবরে ১ লাখ লাশ!

আপডেট সময় ০৪:০১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বাইরে একটি গণকবরে প্রায় ১ লাখ মানুষের মরদেহ রয়েছে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে এসব মানুষকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্স এটি দাবি করেছে। খবর রয়টার্সের।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পর্যবেক্ষক সংস্থাটির প্রধান মৌয়াজ মুস্তাফা এ দাবি করেছেন। তবে পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধানের এমন দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।দামেস্ক থেকে টেলিফোনে দেয়া সাক্ষাৎকারে সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্সের প্রধান মৌয়াজ মুস্তাফা বলেন, রাজধানী দামেস্ক থেকে ২৫ মাইল বা প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে আল কুতায়ফাহ নামের ওই গণকবরের অবস্থান। গত কয়েক বছরের যে পাঁচটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তিনি, এটা তারই একটি। এই গণকরবে অন্তত এক লাখ মানুষকে পুঁতে ফেলা হয়েছে বলে তার দাবি।

সিরিয়ায় এ পাঁচটি ছাড়াও আরো অনেক গণকবর আছে বলে মনে করেন মুস্তাফা। এসব গণকবরে আসাদের আমলে নির্যাতনের শিকার সিরিয়ার নাগরিক ছাড়াও মার্কিন-ব্রিটিশসহ বিভিন্ন বিদেশি রয়েছে।এ বিষয়ে জানতে রয়টার্স সিরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কউশে আলদাহাকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাতে তিনি সাড়া দেননি। আসাদ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন গত জানুয়ারিতে তিনি সিরিয়াতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হন। তবে গত সপ্তাহে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নতুন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমাতে আসাদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ রয়েছে।

সিরিয়ায় সর্বশেষ ১৩ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের সময় বাশারের বাহিনীর হাতে কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।যদিও বাশার আল-আসাদ বরাবর তার সরকারের বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধীদের উগ্রপন্থি হিসেবে চিহ্নিত করার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।১২ দিনের ঝটিকা আক্রমণে গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয় হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও আরো কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিমানে করে দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।