ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদানিকে বিদ্যুত বিল বকেয়া ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ

বিদ্যুত বিল বাবদ ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বিলের বকেয়া কিছু অংশ পরিশোধ করল বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আদানি গ্রুপ বিদ্যুতের বকেয়া হিসেবে বাংলাদেশের কাছে ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে। এরপর নানা কারণে সেই বকেয়া পরিশোধে জটিলতা তৈরি হয়। কিছুদিন আগে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহে সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৭৩ মিলিয়ন ডলারের একটি নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) জারি করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে এটি আদানি পাওয়ারের জন্য ইস্যু করা তৃতীয় এলসি।

বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই এলসি দেওয়া হচ্ছে ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংককে। আগের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল না।বিদ্যুৎ উৎপাদনে আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা মোট ১৬০০ মেগাওয়াট, যার পুরোটাই বাংলাদেশে রফতানি করে। এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করে।কোম্পানিটির কাছ থেকে ২৫ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনতে শেখ হাসিনার সরকার চুক্তিটি করেছিল।আদানির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, তাদের প্রতি মাসে ৯৫ থেকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশকে।

সূএ: ইকোনমিক টাইমস

ট্যাগস

আদানিকে বিদ্যুত বিল বকেয়া ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১১:১৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

বিদ্যুত বিল বাবদ ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বিলের বকেয়া কিছু অংশ পরিশোধ করল বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আদানি গ্রুপ বিদ্যুতের বকেয়া হিসেবে বাংলাদেশের কাছে ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে। এরপর নানা কারণে সেই বকেয়া পরিশোধে জটিলতা তৈরি হয়। কিছুদিন আগে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহে সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৭৩ মিলিয়ন ডলারের একটি নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) জারি করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে এটি আদানি পাওয়ারের জন্য ইস্যু করা তৃতীয় এলসি।

বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই এলসি দেওয়া হচ্ছে ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংককে। আগের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল না।বিদ্যুৎ উৎপাদনে আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা মোট ১৬০০ মেগাওয়াট, যার পুরোটাই বাংলাদেশে রফতানি করে। এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করে।কোম্পানিটির কাছ থেকে ২৫ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনতে শেখ হাসিনার সরকার চুক্তিটি করেছিল।আদানির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, তাদের প্রতি মাসে ৯৫ থেকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশকে।

সূএ: ইকোনমিক টাইমস