দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার গতকাল থেকে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে দূরত্ব ও দুর্গম বিবেচনায় ১৩টি জেলার ব্যালট পেপার প্রথমে পাঠানো হয়েছে।
গত রোববার ইসি’র সিনিয়র সহকারী সচিব (ক্রয় ও মুদ্রণ) মুহাম্মদ এনাম উদ্দীন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্যালট পেপার সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা পাঠিয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, মাগুরা ও রাঙ্গামাটি জেলার ব্যালট পেপার তেজগাঁওয়ের গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস থেকে; জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি ও ভোলার ব্যালট পেপার বিজি প্রেস থেকে এবং বরগুনা, পটুয়াখালী ও নেত্রকোনার ব্যালট পেপার সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিরা বুঝে নিয়েছেন।
ইসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপারের সঙ্গে সম্পর্কিত ফরম এবং স্ট্যাম্প প্যাড জেলায় পৌঁছানোর পর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ট্রেজারি শাখায় সংরক্ষণসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ব্যালট পেপার ও পোস্টাল ব্যালট পেপার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে। ইসি’র অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট পেপার ছাপানো শেষ করতে চান তারা। এক্ষেত্রে যে আসনে মামলা রয়েছে এমন ৪০টির মতো আসনের ব্যালট শেষের দিকে ছাপানো হবে।