ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থামছেই না নির্বাচনী সংঘাত: কুপিয়ে হত্যা

  • স্টাফ পোর্টার
  • আপডেট সময় ১১:৫১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৪৮৮ Time View

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করে সংঘাত থামছে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারশিবির ও মিছিলে হামলা, কর্মীদের মারধর ও হুমকি দেওয়া চলছেই।

মাদারীপুরে গতকাল শনিবার একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, যাঁকে ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজের কর্মী বলে দাবি করেছেন। মুন্সিগঞ্জে এক কর্মীর বাড়িতে গিয়ে গুলির ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৯টি আসনের ১০ জায়গায় সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গত শুক্রবার পর্যন্ত ১১টি আসনের ১৫টি জায়গায় সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন অন্তত ৩০ জন।

নির্বাচনের প্রচার শুরু হয় ১৮ ডিসেম্বর। সেদিন থেকে গতকাল পর্যন্ত ছয় দিনে ৪৬টি জায়গায় সংঘাতের ঘটনা ঘটল। মৃত্যু হলো একজনের। বরাবরের মতো গতকালও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক ও নির্বাচনী প্রচারশিবিরে হামলার ঘটনা বেশি ঘটেছে। শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক বলে অভিযোগ। ফলে দেখা যাচ্ছে, সংঘাতে জড়াচ্ছেন মূলত ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা।

নির্বাচনী সংঘাত ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আজকেও (গতকাল) আমরা কিছু কঠোর পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করেছি। আরও কিছু তথ্য চেয়েছি। আগামীকাল পেলে দেখবেন, কিছু কঠোর সিদ্ধান্তে চলে যাব।’ তিনি বলেন, কোনো না কোনো জায়গায় প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে, এটুকু আভাস তিনি দিয়ে রাখছেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে ২৬৪টি আসনে। এর মধ্যে শতাধিক আসনে দলের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন। বাকিগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মোটামুটি নির্ভার। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২৬টি ও ১৪–দলীয় জোটের শরিকদের ৬টি আসন ছেড়ে দিয়েছে।

জাতীয় পার্টি ১৬টি আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে যাচ্ছে। শরিকদের ছেড়ে দেওয়া ৬টি আসনেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। সব জায়গায় শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মূলত আওয়ামী লীগের নেতা।

সব মিলিয়ে এবারের নির্বাচনে যেসব আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, সেসব আসনের অনেকগুলোতে সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুর-৩ আসনে। নিহত ব্যক্তির নাম এসকেন্দার খাঁ (৭০)। তিনি কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাটাবালি এলাকার মৃত আমির হোসেন খাঁর ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসকেন্দার খাঁসহ কয়েক জন গতকাল ভোরে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বের হন। এ সময় নৌকার প্রার্থীর কর্মী ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক ব্যাপারীর সমর্থকেরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়। এতে বাধা দিলে আরেকজনকে কোপানো হয়।

আহত দুজনকে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে এসকেন্দারের মৃত্যু হয়। মাদারীপুর-৩ (কালকিনি, ডাসার ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগম। তাঁর কর্মীদের মিছিলে গত বৃহস্পতিবার হাতবোমা হামলা হয়েছিল।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে আবদুস সোবহানের কর্মী ফজলুল হক ব্যাপারী মুঠোফোনে বলেন, এসকেন্দারের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাইদের জমিজমার বিরোধ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে তিনি বা নৌকার প্রার্থী—কেউ জড়িত নন। পুলিশও বলছে, হামলার ঘটনা ঘটেছে জমিজমার বিরোধ থেকে। কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান  বলেন, ‘এরপরও ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’

অবশ্য নিহত ব্যক্তির ছেলে মিলন খাঁ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম দাবি করেছেন, নির্বাচনী বিরোধ থেকেই তাঁকে হত্যা করা হয়। মিলন বলেন, ‘আমার বাবা ঈগল মার্কার (তাহমিনা বেগমের প্রতীক) কর্মী ছিলেন। মিছিলে গিয়েছিলেন। তাই নৌকার প্রার্থীর লোকেরা তাঁকে হত্যা করেছে।’

এসকেন্দার খাঁকে হত্যার ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঈগল ও নৌকার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাহমিনা বেগম গতকাল সন্ধ্যায় কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার জন্য নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের দায়ী করেন। মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে গত শুক্রবার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সালের সমর্থক হেবা মোল্লা নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে।

হেবা মোল্লার স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, রাত ৯টার দিকে শতাধিক লোক এসে তাঁদের হুমকি দেন। কারণ, তাঁর স্বামী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক। গুলিটি তাঁদের ঘরের জানালার কাচ ভেদ করে ঢুকে গেছে। এই আসনে শুক্রবারের ঘটনার পর গজারিয়া উপজেলায় নৌকার নির্বাচনী শিবির ও দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সালের সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছেন ফয়সাল।

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। তাঁর বাবা মো. মহিউদ্দিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এই আসনে মৃণাল কান্তি ও ফয়সালের মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত সোয়া আটটার দিকে সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিরেন সাহার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় এ কে আজাদের পাঁচ সমর্থক আহত হন।

একই আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সমর্থক ও ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে আহত ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন। অবশ্য শহীদুল ইসলাম  বলেন, সেখানে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি নিজেও তখন ওই এলাকায় ছিলেন না। এদিকে আহত খোকন মল্লিক বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁরা ১০-১৫ জন ইউনিয়নের পিঠে কুমড়া বাজার থেকে এ কে আজাদের পক্ষে প্রচারণা করে বীরেন সাহার মোড় এলাকার চৌধুরীবাড়ির সামনে যান। সেখানে হামলা হয়।

নওগাঁ-৪ (মান্দা)
স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদের মালিকানাধীন মার্কেটে তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্প ও একটি ওষুধের দোকানে ভাঙচুর করা হয়। শনিবার দুপুরে মান্দা উপজেলার মৈনম বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদের মালিকানাধীন মার্কেটে তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্প ও একটি ওষুধের দোকানে ভাঙচুর করা হয়। 
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদের নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদের (গামা) নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে মান্দা উপজেলার মৈনম বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক।

হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদের তিনজন কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত আলাম সরদার ও শামসুল ইসলাম নামের দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদ  বলেন, নৌকার প্রার্থীর লোকেরাই হামলা চালিয়েছেন। আগেও তাঁর কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর)
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোশতাক আহমেদ ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা, পোস্টার ছেঁড়া, হামলাসহ কয়েকটি অভিযোগ এনেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা। গতকাল দুপুরে দুর্গাপুর পৌরসভার কাছারি মোড় এলাকায় নিজ বাসার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তিনি। জান্নাতুল ফেরদৌস আরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদারের মেয়ে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোশতাক আহমেদ। অভিযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম)
এই আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার মুরাদপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র আনিসুর রহমানের দাবি, হামলায় নেতৃত্বদানকারীরা আওয়ামী লীগের নয়, অন্য দলের লোক।

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ)
এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেনের (খোকা) প্রচারণার সময় একটি মাইক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর এবং রিকশাচালকক মো. শাহ আলমকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। লিয়াকতের নির্বাচন সমন্বয়কারী মাহমুদুল আনোয়ার বলেন, গতকাল সকালে জামপুর ইউনিয়নের পীর বেলাবো এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তাঁর অভিযোগ, আওয়ামী লীগের লোকজন এই হামলা চালিয়েছেন। অবশ্য আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সারের দাবি, মাইকের উচ্চ শব্দ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালামের সমর্থক লিমন হোসেন দাবি করেছেন, গতকাল দুপুরে তাঁকে ও তাঁর বাবাকে মারধর করেছেন আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থী শহিদুল ইসলামের কর্মী কুদরত ই খুদা ও তাঁর সহযোগীরা। আবুল কালামের আরেক কর্মী মুসা আলী অভিযোগ করেছেন, তাঁকে শুক্রবার রাতে মারধর করেছেন কুদরত ই খুদা। কুদরত ই খুদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি কাউকে মারেননি। অভিযোগকারীরা হয়তো দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন।

নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার রাতে নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর ইউনিয়নের জোয়ানপুর শেখপাড়ায় নৌকার কর্মীরা তাঁর সব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন। নলডাঙ্গা থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান বলেন, অভিযোগের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তিনি সেখানে গেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁদের নেতাদের সতর্ক করা হয়েছে।

থামছেই না নির্বাচনী সংঘাত: কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় ১১:৫১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করে সংঘাত থামছে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারশিবির ও মিছিলে হামলা, কর্মীদের মারধর ও হুমকি দেওয়া চলছেই।

মাদারীপুরে গতকাল শনিবার একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, যাঁকে ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজের কর্মী বলে দাবি করেছেন। মুন্সিগঞ্জে এক কর্মীর বাড়িতে গিয়ে গুলির ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৯টি আসনের ১০ জায়গায় সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গত শুক্রবার পর্যন্ত ১১টি আসনের ১৫টি জায়গায় সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন অন্তত ৩০ জন।

নির্বাচনের প্রচার শুরু হয় ১৮ ডিসেম্বর। সেদিন থেকে গতকাল পর্যন্ত ছয় দিনে ৪৬টি জায়গায় সংঘাতের ঘটনা ঘটল। মৃত্যু হলো একজনের। বরাবরের মতো গতকালও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক ও নির্বাচনী প্রচারশিবিরে হামলার ঘটনা বেশি ঘটেছে। শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক বলে অভিযোগ। ফলে দেখা যাচ্ছে, সংঘাতে জড়াচ্ছেন মূলত ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা।

নির্বাচনী সংঘাত ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আজকেও (গতকাল) আমরা কিছু কঠোর পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করেছি। আরও কিছু তথ্য চেয়েছি। আগামীকাল পেলে দেখবেন, কিছু কঠোর সিদ্ধান্তে চলে যাব।’ তিনি বলেন, কোনো না কোনো জায়গায় প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে, এটুকু আভাস তিনি দিয়ে রাখছেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে ২৬৪টি আসনে। এর মধ্যে শতাধিক আসনে দলের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন। বাকিগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মোটামুটি নির্ভার। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২৬টি ও ১৪–দলীয় জোটের শরিকদের ৬টি আসন ছেড়ে দিয়েছে।

জাতীয় পার্টি ১৬টি আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে যাচ্ছে। শরিকদের ছেড়ে দেওয়া ৬টি আসনেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। সব জায়গায় শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মূলত আওয়ামী লীগের নেতা।

সব মিলিয়ে এবারের নির্বাচনে যেসব আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, সেসব আসনের অনেকগুলোতে সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুর-৩ আসনে। নিহত ব্যক্তির নাম এসকেন্দার খাঁ (৭০)। তিনি কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাটাবালি এলাকার মৃত আমির হোসেন খাঁর ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসকেন্দার খাঁসহ কয়েক জন গতকাল ভোরে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বের হন। এ সময় নৌকার প্রার্থীর কর্মী ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক ব্যাপারীর সমর্থকেরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়। এতে বাধা দিলে আরেকজনকে কোপানো হয়।

আহত দুজনকে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে এসকেন্দারের মৃত্যু হয়। মাদারীপুর-৩ (কালকিনি, ডাসার ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগম। তাঁর কর্মীদের মিছিলে গত বৃহস্পতিবার হাতবোমা হামলা হয়েছিল।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে আবদুস সোবহানের কর্মী ফজলুল হক ব্যাপারী মুঠোফোনে বলেন, এসকেন্দারের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাইদের জমিজমার বিরোধ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে তিনি বা নৌকার প্রার্থী—কেউ জড়িত নন। পুলিশও বলছে, হামলার ঘটনা ঘটেছে জমিজমার বিরোধ থেকে। কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান  বলেন, ‘এরপরও ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’

অবশ্য নিহত ব্যক্তির ছেলে মিলন খাঁ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম দাবি করেছেন, নির্বাচনী বিরোধ থেকেই তাঁকে হত্যা করা হয়। মিলন বলেন, ‘আমার বাবা ঈগল মার্কার (তাহমিনা বেগমের প্রতীক) কর্মী ছিলেন। মিছিলে গিয়েছিলেন। তাই নৌকার প্রার্থীর লোকেরা তাঁকে হত্যা করেছে।’

এসকেন্দার খাঁকে হত্যার ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঈগল ও নৌকার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাহমিনা বেগম গতকাল সন্ধ্যায় কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার জন্য নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের দায়ী করেন। মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে গত শুক্রবার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সালের সমর্থক হেবা মোল্লা নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে।

হেবা মোল্লার স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, রাত ৯টার দিকে শতাধিক লোক এসে তাঁদের হুমকি দেন। কারণ, তাঁর স্বামী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক। গুলিটি তাঁদের ঘরের জানালার কাচ ভেদ করে ঢুকে গেছে। এই আসনে শুক্রবারের ঘটনার পর গজারিয়া উপজেলায় নৌকার নির্বাচনী শিবির ও দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সালের সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছেন ফয়সাল।

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। তাঁর বাবা মো. মহিউদ্দিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এই আসনে মৃণাল কান্তি ও ফয়সালের মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত সোয়া আটটার দিকে সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিরেন সাহার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় এ কে আজাদের পাঁচ সমর্থক আহত হন।

একই আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সমর্থক ও ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে আহত ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন। অবশ্য শহীদুল ইসলাম  বলেন, সেখানে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি নিজেও তখন ওই এলাকায় ছিলেন না। এদিকে আহত খোকন মল্লিক বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁরা ১০-১৫ জন ইউনিয়নের পিঠে কুমড়া বাজার থেকে এ কে আজাদের পক্ষে প্রচারণা করে বীরেন সাহার মোড় এলাকার চৌধুরীবাড়ির সামনে যান। সেখানে হামলা হয়।

নওগাঁ-৪ (মান্দা)
স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদের মালিকানাধীন মার্কেটে তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্প ও একটি ওষুধের দোকানে ভাঙচুর করা হয়। শনিবার দুপুরে মান্দা উপজেলার মৈনম বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদের মালিকানাধীন মার্কেটে তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্প ও একটি ওষুধের দোকানে ভাঙচুর করা হয়। 
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদের নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদের (গামা) নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে মান্দা উপজেলার মৈনম বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক।

হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদের তিনজন কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত আলাম সরদার ও শামসুল ইসলাম নামের দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদ  বলেন, নৌকার প্রার্থীর লোকেরাই হামলা চালিয়েছেন। আগেও তাঁর কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর)
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোশতাক আহমেদ ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা, পোস্টার ছেঁড়া, হামলাসহ কয়েকটি অভিযোগ এনেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা। গতকাল দুপুরে দুর্গাপুর পৌরসভার কাছারি মোড় এলাকায় নিজ বাসার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তিনি। জান্নাতুল ফেরদৌস আরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদারের মেয়ে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোশতাক আহমেদ। অভিযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম)
এই আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার মুরাদপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র আনিসুর রহমানের দাবি, হামলায় নেতৃত্বদানকারীরা আওয়ামী লীগের নয়, অন্য দলের লোক।

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ)
এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেনের (খোকা) প্রচারণার সময় একটি মাইক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর এবং রিকশাচালকক মো. শাহ আলমকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। লিয়াকতের নির্বাচন সমন্বয়কারী মাহমুদুল আনোয়ার বলেন, গতকাল সকালে জামপুর ইউনিয়নের পীর বেলাবো এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তাঁর অভিযোগ, আওয়ামী লীগের লোকজন এই হামলা চালিয়েছেন। অবশ্য আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সারের দাবি, মাইকের উচ্চ শব্দ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালামের সমর্থক লিমন হোসেন দাবি করেছেন, গতকাল দুপুরে তাঁকে ও তাঁর বাবাকে মারধর করেছেন আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থী শহিদুল ইসলামের কর্মী কুদরত ই খুদা ও তাঁর সহযোগীরা। আবুল কালামের আরেক কর্মী মুসা আলী অভিযোগ করেছেন, তাঁকে শুক্রবার রাতে মারধর করেছেন কুদরত ই খুদা। কুদরত ই খুদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি কাউকে মারেননি। অভিযোগকারীরা হয়তো দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন।

নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার রাতে নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর ইউনিয়নের জোয়ানপুর শেখপাড়ায় নৌকার কর্মীরা তাঁর সব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন। নলডাঙ্গা থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান বলেন, অভিযোগের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তিনি সেখানে গেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁদের নেতাদের সতর্ক করা হয়েছে।