রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নইলে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে।
জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবং সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙা বৈঠকের পর বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে এসব কথা জানান। তিনি বলেন, সব দলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে তাঁদের জানিয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে বঙ্গভবনে যান রওশন এরশাদ। সঙ্গে ছিলেন মসিউর রহমান, রাহগীর এরশাদসহ চারজন। তাঁরা বঙ্গভবনে প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন। মসিউর রহমান জানিয়েছেন, তাঁরাই রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন।
মসিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপতিকে রওশন এরশাদ বলেছেন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন সময়মতো না হলে সাংবিধানিক সংকট হবে। যথাসময়ে নির্বাচন করতে সহযোগিতার জন্য তাঁরা প্রস্তুত রয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করবে বলে তিনি আশা করেন।
মসিউর রহমান বলেন, যদি সম্ভব হয়, যে দলগুলো তফসিলের বিরোধিতা করছে, তাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আলোচনা করতে পারেন কি না, সেটা আলোচনায় তুলেছেন রওশন এরশাদ। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন।
রাষ্ট্রপতির কাছে রওশন এরশাদ মনোনয়ন পত্র জমার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর থেকে কিছুটা পিছিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন বলে জানান মসিউর রহমান। তিনি বলেন, ওইদিন (৩০ নভেম্বর) আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ারও শেষ দিন। সে কারণে মনোনয়ন পত্র জমা দু-এক দিন পিছিয়ে দেওয়ার কথাটি বলেছেন রওশন এরশাদ।
মসিউর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপতি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে তাঁদের জানিয়েছেন। রওশন এরশাদের আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ১৪ অক্টোবর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। দলটির এই শীর্ষ দুই নেতার বিরোধ অনেক পুরোনো। দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের বিরোধ এখন নির্বাচনের আগে বেড়েছে বলে নেতারা বলছেন।
রওশন এরশাদ গতকাল শনিবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। তাঁর সেই চিঠি বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জি এম কাদেরের পক্ষে শনিবার নির্বাচনে কমিশনে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন দেওয়া ও দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র স্বাক্ষরের ক্ষমতা জিএম কাদেরের বলে জানানো হয়েছে।