ঢাকা ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধূমপানে ঘরে আগুন, সাত যুবক দগ্ধ

ঢাকার সাভার উপজেলায় আড্ডা দেওয়ার সময় ঘরে আগুন লেগে সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার আমিনবাজার এলাকার হিজলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ সাতজন হলেন মো. রায়হান শিকদার (২৩), মো. হাদিস (২০), মো. নাহিদ (২০), মো. জুয়েল (২৬), মো. মোনারুল ইসলাম (২১), মো. আল-আমিন (২৬) ও মো. রুবেল (২৮)।

দগ্ধ রায়হান শিকদারের দুলাভাই মো. রকিব বলেন, হিজলি গ্রামের হারুন মোল্লার বাড়ির ভাড়াটে মোন্নাফ। বর্তমানে মোন্নাফ চিকিৎসার জন্য তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে আছেন। ফলে তাঁর ভাড়া নেওয়া ঘরটি ফাঁকা ছিল। সেই ঘরে মোন্নাফের ভাগনে মো. রায়হান শিকদার ও তাঁর বন্ধুরা গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে আড্ডা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁরা ধূমপান করার জন্য সিগারেটে আগুন জ্বালান। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে আগুন ধরে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ঘরঘেঁষা ড্রেনের কাজ করার সময় গ্যাসের লাইন লিকেজ হয়। সেই লিকেজ থেকে বদ্ধ ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।

সাভার মডেল থানার আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুন উর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, গতকাল রাতে বাড়ির মালিক হারুন মোল্লার ছেলেসহ সাতজন ঘরটিতে মুড়ি খাওয়ার সময় সিলিং ফ্যানের বৈদ্যুতিক লাইনে আগুন ধরে যায়।

এতে বৈদ্যুতিক তার গলে সাতজনের গায়ে পড়লে তাঁদের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। বৈদ্যুতিক তার এবং সিলিং ফ্যান–সংলগ্ন অংশটি ছাড়া ঘরের আর কোনো আসবাবপত্র ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, মো. রায়হান শিকদারের শরীরের ২৮ শতাংশ, মো. হাদিসের ১৩, মো. নাহিদের ১৪, মো. জুয়েলের ৬, মো. মোনারুল ইসলামের ১১, মো. আল-আমিনের ১২ ও মো. রুবেলের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে মো. জুয়েল ও মো. মোনারুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

ধূমপানে ঘরে আগুন, সাত যুবক দগ্ধ

আপডেট সময় ০১:০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

ঢাকার সাভার উপজেলায় আড্ডা দেওয়ার সময় ঘরে আগুন লেগে সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার আমিনবাজার এলাকার হিজলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ সাতজন হলেন মো. রায়হান শিকদার (২৩), মো. হাদিস (২০), মো. নাহিদ (২০), মো. জুয়েল (২৬), মো. মোনারুল ইসলাম (২১), মো. আল-আমিন (২৬) ও মো. রুবেল (২৮)।

দগ্ধ রায়হান শিকদারের দুলাভাই মো. রকিব বলেন, হিজলি গ্রামের হারুন মোল্লার বাড়ির ভাড়াটে মোন্নাফ। বর্তমানে মোন্নাফ চিকিৎসার জন্য তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে আছেন। ফলে তাঁর ভাড়া নেওয়া ঘরটি ফাঁকা ছিল। সেই ঘরে মোন্নাফের ভাগনে মো. রায়হান শিকদার ও তাঁর বন্ধুরা গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে আড্ডা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁরা ধূমপান করার জন্য সিগারেটে আগুন জ্বালান। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে আগুন ধরে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ঘরঘেঁষা ড্রেনের কাজ করার সময় গ্যাসের লাইন লিকেজ হয়। সেই লিকেজ থেকে বদ্ধ ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।

সাভার মডেল থানার আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুন উর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, গতকাল রাতে বাড়ির মালিক হারুন মোল্লার ছেলেসহ সাতজন ঘরটিতে মুড়ি খাওয়ার সময় সিলিং ফ্যানের বৈদ্যুতিক লাইনে আগুন ধরে যায়।

এতে বৈদ্যুতিক তার গলে সাতজনের গায়ে পড়লে তাঁদের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। বৈদ্যুতিক তার এবং সিলিং ফ্যান–সংলগ্ন অংশটি ছাড়া ঘরের আর কোনো আসবাবপত্র ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, মো. রায়হান শিকদারের শরীরের ২৮ শতাংশ, মো. হাদিসের ১৩, মো. নাহিদের ১৪, মো. জুয়েলের ৬, মো. মোনারুল ইসলামের ১১, মো. আল-আমিনের ১২ ও মো. রুবেলের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে মো. জুয়েল ও মো. মোনারুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।