ঢাকা ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শ্রীলঙ্কার ৩৬ শতাংশ পরিবার নিয়মিত খাবার পাচ্ছে না

খাবার সংকটে স্কুলে যাওয়া বন্ধ শ্রীলঙ্কার শিশুদের

খুব খারাপ সময় পার করছেন শ্রীলংকান বাসিন্দারা । নানা সংকটে দেশটি এখন বিপর্যস্ত । এক বাসিন্দার কাহিনী দিয়ে তুলে ধরা যাক ।  নদিকা প্রিয়দর্শিনী পড়েছেন ভয়ংকর এক সমস্যায়। ঘরে খাবার না থাকায় সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না তিনি।

চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে তার পরিবার এখন দিনে মাত্র একবার কিছু সবজি দিয়ে ভাত খাচ্ছে। কোনো কোনো দিন তা-ও জুটছে না। বাড়িতে খাবার নেই, চাল-ডাল কেনার পয়সা নেই। এ অবস্থায় সন্তানদের কীভাবে স্কুলে পাঠাবেন তা ভেবে কুল পাচ্ছেন না এ লঙ্কান নারী। খবর ডয়েচে ভেলের।

শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি বস্ত্র কারখানায় কাজ করেন প্রিয়দর্শিনী। তবু অভাবে অনটনে দিন পার করতে হচ্ছে তাকে ও তার পরিবারকে

 

প্রিয়দর্শিনী একাই নন, একই দশা শ্রীলঙ্কার আরও অনেকের। দেশটির বহু এলাকায় যথেষ্ট খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও দাম আকাশছোঁয়া। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন প্রিয়দর্শিনীর মতো গরিব মানুষেরা

সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, গত মাসে শ্রীলঙ্কার ৩৬ শতাংশ পরিবার নিয়মিত খাবার পায়নি। গত জুনে ইউনিসেফ জানিয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে অন্তত ৫৬ হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।খালি পেটে পড়াশোনা হয় না। প্রিয়দর্শিনী জানান স্কুলে কিছু শিশু টিফিন বিরতিতে খাবার খাচ্ছে। কিন্তু আমার বাচ্চাদের কাছে কোনো খাবার নেই। আমি কীভাবে ওদের স্কুলে পাঠাবো?

প্রিয়দর্শিনীর ১৩ বছর বয়সী ছেলে তবু জোর করে স্কুলে যাচ্ছে। খালি পেটেই পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চেয়েছে সে। কিন্তু ছয় বছরের মেয়ে কী করবে? অতটুকু বাচ্চা তো ক্ষুধা ভুলে পড়তে পারে না।

খাবার না পাওয়ায় কতজন শিশু স্কুলে যাচ্ছে না, সেই সংখ্যা জানায়নি শ্রীলঙ্কার সরকার। তবে গত জুন মাসে জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, যেসব স্কুলে খাবার দেওয়া হয় না, সেখানে শিশু শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না।

ইউনিসেফের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কিছু এলকায় শিশুদের স্কুলে যাওয়ার হার কমে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

শ্রীলঙ্কার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব তারা ডি মেল বলেছেন, খাবার পেলেই শিশুরা স্কুলে ফিরবে। না হলে গ্রামের দিকে বা যেসব স্কুলে গরিব শিশুরা পড়ে, তারা খালি পেটে স্কুলে যাবে না।

ট্যাগস

শ্রীলঙ্কার ৩৬ শতাংশ পরিবার নিয়মিত খাবার পাচ্ছে না

খাবার সংকটে স্কুলে যাওয়া বন্ধ শ্রীলঙ্কার শিশুদের

আপডেট সময় ০৬:৪৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

খুব খারাপ সময় পার করছেন শ্রীলংকান বাসিন্দারা । নানা সংকটে দেশটি এখন বিপর্যস্ত । এক বাসিন্দার কাহিনী দিয়ে তুলে ধরা যাক ।  নদিকা প্রিয়দর্শিনী পড়েছেন ভয়ংকর এক সমস্যায়। ঘরে খাবার না থাকায় সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না তিনি।

চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে তার পরিবার এখন দিনে মাত্র একবার কিছু সবজি দিয়ে ভাত খাচ্ছে। কোনো কোনো দিন তা-ও জুটছে না। বাড়িতে খাবার নেই, চাল-ডাল কেনার পয়সা নেই। এ অবস্থায় সন্তানদের কীভাবে স্কুলে পাঠাবেন তা ভেবে কুল পাচ্ছেন না এ লঙ্কান নারী। খবর ডয়েচে ভেলের।

শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি বস্ত্র কারখানায় কাজ করেন প্রিয়দর্শিনী। তবু অভাবে অনটনে দিন পার করতে হচ্ছে তাকে ও তার পরিবারকে

 

প্রিয়দর্শিনী একাই নন, একই দশা শ্রীলঙ্কার আরও অনেকের। দেশটির বহু এলাকায় যথেষ্ট খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও দাম আকাশছোঁয়া। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন প্রিয়দর্শিনীর মতো গরিব মানুষেরা

সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, গত মাসে শ্রীলঙ্কার ৩৬ শতাংশ পরিবার নিয়মিত খাবার পায়নি। গত জুনে ইউনিসেফ জানিয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে অন্তত ৫৬ হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।খালি পেটে পড়াশোনা হয় না। প্রিয়দর্শিনী জানান স্কুলে কিছু শিশু টিফিন বিরতিতে খাবার খাচ্ছে। কিন্তু আমার বাচ্চাদের কাছে কোনো খাবার নেই। আমি কীভাবে ওদের স্কুলে পাঠাবো?

প্রিয়দর্শিনীর ১৩ বছর বয়সী ছেলে তবু জোর করে স্কুলে যাচ্ছে। খালি পেটেই পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চেয়েছে সে। কিন্তু ছয় বছরের মেয়ে কী করবে? অতটুকু বাচ্চা তো ক্ষুধা ভুলে পড়তে পারে না।

খাবার না পাওয়ায় কতজন শিশু স্কুলে যাচ্ছে না, সেই সংখ্যা জানায়নি শ্রীলঙ্কার সরকার। তবে গত জুন মাসে জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, যেসব স্কুলে খাবার দেওয়া হয় না, সেখানে শিশু শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না।

ইউনিসেফের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কিছু এলকায় শিশুদের স্কুলে যাওয়ার হার কমে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

শ্রীলঙ্কার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব তারা ডি মেল বলেছেন, খাবার পেলেই শিশুরা স্কুলে ফিরবে। না হলে গ্রামের দিকে বা যেসব স্কুলে গরিব শিশুরা পড়ে, তারা খালি পেটে স্কুলে যাবে না।