ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মরিয়ম মান্নানের মাকে ফরিদপুর থেকে জীবিত উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টারঃ   খুলনা নগরের দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ২৯ দিন পর শনিবার ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

খুলনা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারীর এক গ্রামের একটি বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়েছে। নগর পুলিশের একটি দল তাঁকে নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনি কিছু বলেননি। তবে পরে সব জানা যাবে।

এ বিষয়ে রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে কেউ এ বিষয়ে জানায়নি। তবে সত্যিই যদি মাকে পাওয়া যায়, তাহলে আমার চেয়ে খুশি তো কেউ হবে না।’ এর কিছু সময় পরে অবশ্য মরিয়ম মান্নান ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বলেছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ফোন করে তাঁর মাকে উদ্ধার করার কথা জানানো হয়েছে।

গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বাসার উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম। কিন্তু এক ঘণ্টা পরও তিনি বাসায় না ফেরায় তাঁর সন্তানেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নলকূপের পাশে তাঁদের মায়ের জুতা, ওড়না ও পানির পাত্র পড়ে থাকলেও মাকে তাঁরা খুঁজে পাননি। এ ঘটনায় ওই রাতেই রহিমা বেগমের ছেলে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন তাঁর মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ ছাড়া বিষয়টি র‌্যাবকেও জানানো হয়। এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মায়ের সন্ধান চেয়ে ঢাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করে আসছিলেন সন্তানেরা।

এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা গ্রামের ঝোপ থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি নিজের মায়ের বলে দাবি করেছিলেন মরিয়ম মান্নান। ‘লাশ শনাক্তে’ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তিনি ফুলপুর থানায় যান। এ সময় মরিয়ম লাশটি তাঁর মায়ের দাবি করে নিয়ে যেতে চান। সেখানে লাশের পরিহিত কাপড় দেখেন। এরপর মরিয়ম দাবি করেন, লাশটি তাঁর মায়ের। পরে মরিয়ম মান্নান ফুলপুর থানায় ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল ওহাব প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে। দলটি খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছে।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

মরিয়ম মান্নানের মাকে ফরিদপুর থেকে জীবিত উদ্ধার

আপডেট সময় ১০:৪০:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টারঃ   খুলনা নগরের দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ২৯ দিন পর শনিবার ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

খুলনা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারীর এক গ্রামের একটি বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়েছে। নগর পুলিশের একটি দল তাঁকে নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনি কিছু বলেননি। তবে পরে সব জানা যাবে।

এ বিষয়ে রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে কেউ এ বিষয়ে জানায়নি। তবে সত্যিই যদি মাকে পাওয়া যায়, তাহলে আমার চেয়ে খুশি তো কেউ হবে না।’ এর কিছু সময় পরে অবশ্য মরিয়ম মান্নান ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বলেছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ফোন করে তাঁর মাকে উদ্ধার করার কথা জানানো হয়েছে।

গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বাসার উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম। কিন্তু এক ঘণ্টা পরও তিনি বাসায় না ফেরায় তাঁর সন্তানেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নলকূপের পাশে তাঁদের মায়ের জুতা, ওড়না ও পানির পাত্র পড়ে থাকলেও মাকে তাঁরা খুঁজে পাননি। এ ঘটনায় ওই রাতেই রহিমা বেগমের ছেলে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন তাঁর মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ ছাড়া বিষয়টি র‌্যাবকেও জানানো হয়। এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মায়ের সন্ধান চেয়ে ঢাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করে আসছিলেন সন্তানেরা।

এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা গ্রামের ঝোপ থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি নিজের মায়ের বলে দাবি করেছিলেন মরিয়ম মান্নান। ‘লাশ শনাক্তে’ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তিনি ফুলপুর থানায় যান। এ সময় মরিয়ম লাশটি তাঁর মায়ের দাবি করে নিয়ে যেতে চান। সেখানে লাশের পরিহিত কাপড় দেখেন। এরপর মরিয়ম দাবি করেন, লাশটি তাঁর মায়ের। পরে মরিয়ম মান্নান ফুলপুর থানায় ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল ওহাব প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে। দলটি খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছে।


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471