স্টাফ রিপোর্টার: ‘দেশে কোনো সুশাসন নেই’ মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সরকার মানুষকে পিষ্ট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করেছে।
আজকে কেরোসিন ডিজেল ও এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখানে জনগণের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি।আরও বলেন, অবৈধ পার্লামেন্ট যখন যেভাবে পারছে গায়ের জোরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করছে। জনগণের অভিমতের কোনো মূল্য দিচ্ছে না তারা। এ রকমই একটি সরকার আজকে ক্ষমতায় বসে আছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজধানীর বেইলি রোডে দোকান, পথচারী ও সাধারণ মানুষের মাঝে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণকালে বুধবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন রিজভী।
লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে তারা (সরকার) বড় বড় কথা বলে। আর তারা বলে পলাতক আসামি দিয়ে কি দল চলে? আরে আজকে দেশে যদি সুশাসন থাকতো তাহলে যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন তারা আজকে কারাগারে থাকতো।
অথচ আজকে বিচারে যাদের জেল হতো, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতো তারাই আজকে দস্যুর মতো ক্ষমতা দখল করে বড় বড় কথা বলছে। যারা গণতন্ত্র ও মানুষের পক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আজকে তারা কথা বলে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতীক মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জোর করে বন্দী রাখা হয়েছে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। কারা সাজা দিয়েছে? সেটা হলো আওয়ামী আইন, আওয়ামী আদালত! এখানে কোনো সুশাসন নেই। সমস্ত কিছু আওয়ামী করণ করা হয়েছে। তাদের আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে।
রিজভী বলেন, আজকে সে কারণেই জনগণকে পিষ্ট করে তাদের পদদলিত করে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আজকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে ডিজেল ও কেরোসিন এবং গ্যাস। আজকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আজকে কৃষকের ব্যয় বেড়ে যাবে। সব ধরনের খাদ্যদ্রব্য ও কৃষি পণ্যের দাম বাড়বে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, সদস্যসচিব মো. আব্দুর রহিম, নাদিম চৌধুরী, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুক পাটোয়ারি, জাহাঙ্গীর আলম সনি, সাইফুল ইসলাম রাশেদ, সাইদুল ইসলাম টুলু, কবির উদ্দিন মাস্টার, হান্নান মল্লিক, জহিরুল ইসলাম বাশার, শরীফুর রহমান রিপন, হেমায়েত উদ্দিন হিমু, তানভীর আহমেদ, মাহবুব আলম শিকদার, সুমন মুন্সী, ফজলে কাদের সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহেদুল কবির, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত ও ঢাবি ছাত্রদলের রাজু আহমেদ।