ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ১৬ বছর পর ধর্ষকের যাবজ্জীবন

ফেনীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ১৬ বছর পর ধর্ষকের যাবজ্জীবন

ফেনী প্রতিনিধি:  ফেনীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের দায়ে মিজানুর রহমান (৪২) নামের এক ধর্ষকের ১৬ বছর পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মিজান জেলার সোনাগাজীর বগাদানা ইউনিয়নের বাদুরিয়া গ্রামের ছিদ্দিক আহাম্মদের ছেলে। পেশায় তিনি মাইক্রোবাস চালক।

জানা যায়, ২০০৫ সালে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সোনাগাজীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মিজানুর রহমান। এতে ওই কিশোরী সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে ফেনীর একটি ক্লিনিকে গর্ভপাতের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়। পরে ওই বছরের ২৩ জুলাই কিশোরীর মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনার তদন্তের পর একই বছরের ৩১ অক্টোবর থানার এসআই এনামুল হক চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর সোমবার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রায় ঘোষণার সময় মিজানুর রহমান আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। জামিনের পর থেকে সে পলাতক। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজার পরোয়ানা জারি করেন।

ট্যাগস

ফেনীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ১৬ বছর পর ধর্ষকের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৩:৪৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১

ফেনী প্রতিনিধি:  ফেনীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের দায়ে মিজানুর রহমান (৪২) নামের এক ধর্ষকের ১৬ বছর পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মিজান জেলার সোনাগাজীর বগাদানা ইউনিয়নের বাদুরিয়া গ্রামের ছিদ্দিক আহাম্মদের ছেলে। পেশায় তিনি মাইক্রোবাস চালক।

জানা যায়, ২০০৫ সালে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সোনাগাজীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মিজানুর রহমান। এতে ওই কিশোরী সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে ফেনীর একটি ক্লিনিকে গর্ভপাতের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়। পরে ওই বছরের ২৩ জুলাই কিশোরীর মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনার তদন্তের পর একই বছরের ৩১ অক্টোবর থানার এসআই এনামুল হক চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর সোমবার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রায় ঘোষণার সময় মিজানুর রহমান আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। জামিনের পর থেকে সে পলাতক। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজার পরোয়ানা জারি করেন।