ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কবরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টারঃ  কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) পৃথক বার্তায় এ শোক প্রকাশ করেন তারা।

এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, কবরী ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার মৃত্যু দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলা চলচ্চিত্রের বিকাশে তার অবদান মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

রাষ্ট্রপতি মরহুমা সারাহ বেগম কবরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এছাড়া বাংলা চলচ্চিত্রের বিখ্যাত অভিনেত্রী, নির্মাতা ও সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরী এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এদেশের চলচ্চিত্রে কবরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতি ও সংস্কৃতি অঙ্গনে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ২০মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

গত ৫ এপ্রিল করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরপরই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল কবরীকে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ৮ এপ্রিল তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখান চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিরবিদায় নিলেন এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী।

১৯৫০ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্ম নেওয়া কবরী ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভূত হন। ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ ছবির নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। তারপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি।

একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকদের মনে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। অভিনয় জীবনে নায়িকা হিসেবে কবরী শতাধিক সিনেমা করেছেন। ১৯৭৩ সালে ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। নায়ক রাজ্জাকের সঙ্গে ‘রংবাজ’ পায় বেশ জনপ্রিয়তা।

১৯৭৫ সালে নায়ক ফারুকের সঙ্গে ‘সুজন সখী’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর কবরীকে আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি। এই সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে যান তিনি। পরবর্তীতে তিনি রাজ্জাক, সোহেল রানা, ফারুক, উজ্জ্বল, জাফর ইকবালের মত অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।

২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কবরী। অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননাসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

কবরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

আপডেট সময় ০৯:৪২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ  কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) পৃথক বার্তায় এ শোক প্রকাশ করেন তারা।

এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, কবরী ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার মৃত্যু দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলা চলচ্চিত্রের বিকাশে তার অবদান মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

রাষ্ট্রপতি মরহুমা সারাহ বেগম কবরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এছাড়া বাংলা চলচ্চিত্রের বিখ্যাত অভিনেত্রী, নির্মাতা ও সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরী এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এদেশের চলচ্চিত্রে কবরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতি ও সংস্কৃতি অঙ্গনে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ২০মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

গত ৫ এপ্রিল করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরপরই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল কবরীকে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ৮ এপ্রিল তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখান চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিরবিদায় নিলেন এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী।

১৯৫০ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্ম নেওয়া কবরী ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভূত হন। ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ ছবির নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। তারপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি।

একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকদের মনে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। অভিনয় জীবনে নায়িকা হিসেবে কবরী শতাধিক সিনেমা করেছেন। ১৯৭৩ সালে ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। নায়ক রাজ্জাকের সঙ্গে ‘রংবাজ’ পায় বেশ জনপ্রিয়তা।

১৯৭৫ সালে নায়ক ফারুকের সঙ্গে ‘সুজন সখী’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর কবরীকে আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি। এই সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে যান তিনি। পরবর্তীতে তিনি রাজ্জাক, সোহেল রানা, ফারুক, উজ্জ্বল, জাফর ইকবালের মত অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।

২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কবরী। অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননাসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471