কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আশ্রয় শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর রোহিঙ্গারা লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ইতোমধ্যে ক্যাম্পের বাইরে ছড়িয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা জড়িয়েছে খুন করাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। স্থানীয়রা বলছেন, আশ্রয় শিবিরে কোনো ঘটনা ঘটলেই ক্যাম্প ছেড়ে রোহিঙ্গারা মিশে যায় লোকালয়ে।
তবে অগ্নিকাণ্ডের পর ভাসমান হয়ে পড়া রোহিঙ্গারা কোনোভাবেই যাতে লোকালয়ে মিশে যেতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে প্রাণ বাঁচাতে ঝুপড়িঘর ছাড়ে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আশ্রয় শিবিরের হাজার হাজার রোহিঙ্গা। এরপর অনেক রোহিঙ্গা চলে যায় কুতুপালং ক্যাম্পে অবস্থান করা স্বজনদের কাছে।
আবার অনেকেই যায় লোকালয়ে। তবে আগুন নিভে যাওয়ার পর ক্যাম্পে ফিরেছে অনেক রোহিঙ্গা। স্থানীয়দের দাবি, আশ্রয় শিবিরে সংঘর্ষ, সংঘাত বা সম্প্রতি আগুন লাগার মতো ঘটনা সংঘটিত হলেই ক্যাম্প ছেড়ে লোকালয়ে পালিয়ে যায় রোহিঙ্গারা।
ভাসমান হয়ে পড়ার সুযোগ নিয়ে রোহিঙ্গারা যেন কোনোভাবেই লোকালয়ে মিশে যেতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকার কথা জানালেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।
আর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ নেজওয়ান হায়াত জানালেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি কঠোরভাবে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
গত ২ বছরে দেশের নানা স্থান থেকে ৫০ হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে পাঠানো হয়।