ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাল পাচারের সময় উল্টে গেল ট্রাক, ব্যবসায়ী ধরা

পাচারের সময় ট্রাক উল্টে চালের বস্তায় সরকারি লোগো ও খাদ্য অধিদফতরের সিল দেখে প্রশাসনকে খবর দেয় স্থানীয়রা

দিনাজপুর,প্রতিনিধিঃ  ৩৪২ বস্তা সরকারি চাল ট্রাকে করে পাচারের সময় ট্রাকসহ চালগুলো জব্দ করেছে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা প্রশাসন।

এ সময় চালের মালিক মো. দবিরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।পরে তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী দবিরুল ইসলামকে দিনাজপুর জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের কলাবাগান এলাকা থেকে ট্রাকসহ চালগুলো জব্দ করেন বিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহসিয়া তাবাসসুম।

গ্রেফতার দবিরুল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের ইয়াকুব আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মনির।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বুধবার রাতে বিরামপুর শহরের মহিলা কলেজ মাঠ এলাকা দিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের মো. দবিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ৩৪২ বস্তা চাল ট্রাকে করে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

কলাবাগান এলাকায় মহাসড়কে ওঠার সময় সামনের চাকা বিকল হয়ে ট্রাকটি চালসহ রাস্তার পাশে উল্টে যায়। পরে স্থানীয়রা চালের বস্তার গায়ে সরকারি খাদ্যগুদামের লোগো দেখে স্থানীয় প্রশাসনকে জানায়।

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসে ট্রাকসহ চালগুলো জব্দ করেন। এ সময় দবিরুল ইসলাম চালগুলো নিজের দাবি করে বিরামপুর মোস্তফা অটো-

রাইসমিলে প্রক্রিয়াজাত করে সরকারি খাদ্যগুদাম দাউদপুরে জমা দেয়া হবে বলে জানান। সহকারী কমিশনার তাকে চালগুলোর বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে দেখাতে পারেননি।

বিরামপুর থানা পুলিশের ওসি মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিকে চালগুলোর বৈধ কাগজ দেখাতে বললে দেখাতে পারেননি।

ফলে সরকারি খাদ্যগুদামের লোগো ব্যবহার করে অধিক মুনাফার আশায় কালোবাজারির অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহসিয়া তাবাসসুম বলেন, ট্রাক উল্টে চালের বস্তায় সরকারি লোগো ও খাদ্য অধিদফতরের সিল দেখে স্থানীয়রা খবর দেয়।

পরে ট্রাকভর্তি চাল ও দবিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। দবিরুল ইসলাম চালগুলো নিজের দাবি করলেও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। মূলত সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্য ছিল তার।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

সরকারি চাল পাচারের সময় উল্টে গেল ট্রাক, ব্যবসায়ী ধরা

আপডেট সময় ০৫:১৩:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০

দিনাজপুর,প্রতিনিধিঃ  ৩৪২ বস্তা সরকারি চাল ট্রাকে করে পাচারের সময় ট্রাকসহ চালগুলো জব্দ করেছে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা প্রশাসন।

এ সময় চালের মালিক মো. দবিরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।পরে তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী দবিরুল ইসলামকে দিনাজপুর জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের কলাবাগান এলাকা থেকে ট্রাকসহ চালগুলো জব্দ করেন বিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহসিয়া তাবাসসুম।

গ্রেফতার দবিরুল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের ইয়াকুব আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মনির।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বুধবার রাতে বিরামপুর শহরের মহিলা কলেজ মাঠ এলাকা দিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের মো. দবিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ৩৪২ বস্তা চাল ট্রাকে করে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

কলাবাগান এলাকায় মহাসড়কে ওঠার সময় সামনের চাকা বিকল হয়ে ট্রাকটি চালসহ রাস্তার পাশে উল্টে যায়। পরে স্থানীয়রা চালের বস্তার গায়ে সরকারি খাদ্যগুদামের লোগো দেখে স্থানীয় প্রশাসনকে জানায়।

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসে ট্রাকসহ চালগুলো জব্দ করেন। এ সময় দবিরুল ইসলাম চালগুলো নিজের দাবি করে বিরামপুর মোস্তফা অটো-

রাইসমিলে প্রক্রিয়াজাত করে সরকারি খাদ্যগুদাম দাউদপুরে জমা দেয়া হবে বলে জানান। সহকারী কমিশনার তাকে চালগুলোর বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে দেখাতে পারেননি।

বিরামপুর থানা পুলিশের ওসি মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিকে চালগুলোর বৈধ কাগজ দেখাতে বললে দেখাতে পারেননি।

ফলে সরকারি খাদ্যগুদামের লোগো ব্যবহার করে অধিক মুনাফার আশায় কালোবাজারির অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহসিয়া তাবাসসুম বলেন, ট্রাক উল্টে চালের বস্তায় সরকারি লোগো ও খাদ্য অধিদফতরের সিল দেখে স্থানীয়রা খবর দেয়।

পরে ট্রাকভর্তি চাল ও দবিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। দবিরুল ইসলাম চালগুলো নিজের দাবি করলেও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। মূলত সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্য ছিল তার।